27 C
আবহাওয়া
১২:৩৫ অপরাহ্ণ - অক্টোবর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম মেডিকেলের যন্ত্রপাতি নষ্ট শুনতে আমার খারাপ লাগে :ডা. সামন্ত লাল সেন

চট্টগ্রাম মেডিকেলের যন্ত্রপাতি নষ্ট শুনতে আমার খারাপ লাগে :ডা. সামন্ত লাল সেন


বিএনএ,চট্টগ্রাম: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এম আর আই মেশিন ও সিটি স্ক্যান মেশিন নষ্ট এটা শুনতেও তো আমার কাছে খারাপ লাগে। ঢাকার পর চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে ঠিক করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু আমি করব।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা যাতে যথাযথ চিকিৎসা পায় সেটা দেখা যেমন আমার দায়িত্ব, তেমনি ডাক্তাররাও যাতে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে সুরক্ষা পায়, সেটা দেখাও আমার দায়িত্ব। রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বটা আমার।আপনারা যদি আমাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করেন তাহলে হাসপাতালের সব সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা আমার থাকবে। কিছুদিন আগে আমি অনেক কষ্টে সময় বের করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ডিজি সবাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। ওখানে আমরা স্বাস্থ্য খাত নিয়ে প্রেজেন্টেশন প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছিলাম। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সেখানে বিস্তারিত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা যে প্রসিডিওর, মডেল তৈরি করেছি, সেটা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে স্বাস্থ্য খাতে ভালোকিছু হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন,দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে সুন্দরভাবে যাতে পোস্টিং দিতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এটি অনেক বড় সময়সাপেক্ষ কাজ। আমি মাত্র ছয় মাস হলো দায়িত্বে আছি। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন আমি ঠিক করেছি ঢাকায় দুইদিনের বেশি থাকবো না। সারাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আমি নিজে গিয়ে দেখবো।
আমরা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছি। বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন ইউনিট ইতোমধ্যে একনেকে পাস হয়ে গেছে, প্রধানমন্ত্রী চীন সফর শেষে যখন দেশে থাকবেন তখনই ওনার মাধ্যমে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ইচ্ছা আছে। আশা করি ওনারা দেশে ফিরে আসলে আমরা এটা করতে পারবো। চাইনিজরা কমিটেড- দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণ শেষ করবে।চলতি মাসেই বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে।আমরা জনবল, যন্ত্রপাতি সব নিয়েই একসঙ্গে কাজ করছি। এই বার্ন ইউনিট চালু হলে চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা উপকৃত হবে। সবাইকে ঢাকায় ছুটতে হবে না।

পরে হাসপাতালের ইউরোলজি, পেডিয়াট্রিক, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি থাকা শিশু ছাড়াও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের কাছেও তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমি গাজীপুর বেগম ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে কিছু পরীক্ষা করিয়েছি। এরকম আমাদের সবাইকে করতে হবে।

মন্ত্রী চিকিৎসকদের অনুরোধ করে বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিষয় অনুরোধ করছি, আমি কিন্তু কোনোদিন ‘অভিযান’ চালাইনি। আমি সাংবাদিক ভাইদের সবসময় বলি, এটি ‘অভিযান নয়, এটি হচ্ছে পরিদর্শন’। অভিযান বলতে তো জঙ্গি বাহিনীকে ধরার মতো অভিযান।

হাসপাতাল পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীসহ চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র স্টাফ নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনএনিউজ/রেহানা,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ