বিএনএ ডেস্ক: হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক ও তার স্ত্রীর কাছে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা পাওনা ছিলো ব্যবসায়ী আনিসের। বার বার তাগাদা দিয়েও সেই টাকা না পেয়ে উলটো ঋনকারীদের কাছ থেকে মানসিক অত্যাচারের কারণেই আনিস আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা র্যাবের।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক নুরুল আমিন ও পরিচালক ফাতেমা আমিন দম্পতি গ্রেফতারের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আলম মঈন। সেখানে আনিস ও আমিন-ফাতেমা দম্পতির ব্যবসায়িক লেনদেন, বিনিয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে তুলে ধরা হয়।
খন্দকার মঈন জানান, নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনকে মঙ্গলবার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জানান, প্রাথমিকভাবে আনিস আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আনিস নিজে আত্মাহত্যা করেছে কিনা বা কেউ পরিকল্পিতভাবে আনিসের গায়ে আগুন লাগিয়ে হত্যা করেছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
র্যাব জানায়, আনিসের সাথে লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিন। আনিস তাদের ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা দিলেও তা লাভ-আসল মিলে তা প্রায় ৩ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। যার মধ্যে নুরুল আমিন ৭৪ লাখ টাকা আনিসকে ফেরত দিয়েছে। ৪ তারিখ চেক দেয়ার কথা স্বীকারও করেছে গ্রেপ্তারকৃত নুরুল আমিন দম্পতি।
র্যাব জানায়, আত্মহত্যার আগে ফেইসবুকে এক পোস্টে আনিস দাবি করেন, হেনোলাক্স গ্রুপে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হন তিনি।
মৃত্যুর পর রাজধানীর শাহবাগ থানায় হেনেলাক্স কোম্পানীর চেয়ারম্যান নুরুল আমীন ও তার স্ত্রী এবং এমডি ফাতেমা আমীনের নামে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন আনিসের বড় ভাই নজরুল।
আওয়ামী লীগ নেতা, কবি ও ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাঠে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬ টায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
বিএনএ/ এ আর