বিএনএ/কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র (কুবিসাস) কক্ষের পূর্ব দিকের দুটি জানালার গ্লাস ভাঙার ঘটনায় ছাত্রলীগের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ছাত্রলীগের রেজা-ই-এলাহি গ্রুপের সমর্থকরা।
সোমবার (০৫ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘কুবিসাস কোন ধরনের সাক্ষ্য প্রমাণ ও তদন্ত ছাড়াই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে দোষী সাব্যস্ত করে সংবাদ প্রচার করেছে। কুবিসাস উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগকে কটূক্তি ও ক্যাম্পাস ছাড়া করার নানা ধরনের হুমকি, ষড়যন্ত্র ও অসঙ্গতিপূর্ণ নিউজ প্রচার করে আসছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ মনে করে যে- বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে অনবরত ন্যাক্কারজনক এ ধরনের অসত্য ও প্রমাণহীন অভিযোগ করা কুবিসাসের চিরাচরিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যা স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে উস্কে দিচ্ছে।’
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ছাত্রলীগের একটি লিখিত অভিযোগ পত্র আমরা পেয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া এসব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি আগামীকাল (৬ জুন) মিটিংয়ে বসব।
কুবিসাস অফিসের জানালার গ্লাস ভাঙার ঘটনায় তথ্য প্রমাণ ছাড়া উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছাত্রলীগকে জড়ানো অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন থেকেই ছাত্রলীগের কিছু সাবেক নেতা এবং তাদের অনুসারীরা সংবাদ প্রকাশের জেরে কুবিসাসের সদস্যদেরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। হুমকির পরেই কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর হওয়ায় এ ঘটনার সাথে তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।’
প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে কোনো প্রমাণের কথা বলতে পারেনি। বরং সাংবাদিককে উপরের দেয়া বক্তব্য ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর দক্ষিণ থানার একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় আমরা গতকাল (৪ জুন) একটা অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ একটা প্রাথমিক তদন্ত করবে। এরপর অবস্থা বিবেচনায় সেটা জিডি অথবা মামলায় কনভার্ট করবে। বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে গতকাল একটা অভিযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।
বিএনএনিউজ/আদনান/এইচ.এম।