24 C
আবহাওয়া
১০:২৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এখনও যেন ঈদের বাজার, সবকিছুরই বাড়তি দাম

এখনও যেন ঈদের বাজার, সবকিছুরই বাড়তি দাম

বাজার

বিএনএ ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি বাংলাদেশে নিয়মিত ঘটনা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে পার্থক্য হলো রোজা ও ঈদ চলে গেলেও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেমে নেই। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ, আলু, তেল, চিনিসহ প্রায় সবকিছুর দাম আরেক দফা বেড়েছে।

রাজধানীর মিরপুরের রাইনখোলা বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ ইমন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৪২ টাকা কেজি। আজ দেখছি ৭০ টাকা কেজি। কয়েকটা দোকানে ঘোরার পর দেখি একেকটাতে একেক দাম। এক জায়গায় বলছে ৬৫ টাকা, এক জায়গায় ৬০ টাকা। হঠাৎ কী কারণে এত দাম বেড়ে গেল কিছুই বুঝলাম না। শুধু পেঁয়াজ না, সবকিছুর দামই বেশি। আমরা সাধারণ ভোক্তারা বিপদে পড়েছি।’

একই অভিযোগ করেছেন রাজধানীর মিরপুর-১ কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারের ক্রেতারাও।

বেড়েছে সবজি, চিনি-তেলের দাম
এদিকে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও এগুলোর দামও বেড়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেগুনের দাম ১০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা কেজি, ডিম ৪৬ টাকা হালি।

মিরপুরের রাইনখোলা বাজারের ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, রসুনের দাম বেড়ে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা কিনি দাম দিয়া, আমরা তো দামেই বিক্রি করুম। কমে কিনলে তো কমে বেচতাম। দাম বাড়লে বেচা কম হয়।’

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিনির দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম আরও বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিপ্রতি। যা গত সপ্তাহে ১২০-১২৫ টাকার মধ্যে ছিল। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ১২ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৯৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কমেনি ব্রয়লার, গরু-খাসির মাংসের দাম
এদিকে ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম এখনো কমেনি। শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা।

গরুর মাংস বেশ কিছুদিন ৭৫০ টাকার ঘরে থাকার পর ঈদের আগমুহূর্তে ৮০০ টাকায় উঠে যায়। সেখান থেকে আর নামতে চাইছে না এই মাংসের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। খাসির মাংসেরও একই অবস্থা। এদিন বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের মাংস বিক্রেতা শাহিন শেখ বলেন, ‘দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি একটু কমেছে। আমাদের আর কী করার আছে। আমরা কিনি বেশি দাম দিয়া। দাম বাড়ার ফলে দেখা যায় সকালে জবাই করা গরুর গোস্ত বিকেল পর্যন্ত, অনেক সময় সন্ধ্যা পর্যন্তও থেকে যায়। ক্রেতা অনেক কমে গেছে।’

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ