বিএনএ লাইফস্টাইল ডেস্ক: অনেকে ভাবেন, রমজানে না খেয়ে থাকলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই ধারণা একদমই ঠিক নয়। রমজানে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেহেরি। এ সময় আপনি কী খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনার ওজন বাড়বে নাকি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অতিরিক্ত তেল, মশলাযুক্ত, ঝাল খাবার শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। অনেকে ভাবেন, সারাদিন যেহেতু না খেয়ে থাকতে হবে তাই সেহেরিতে প্রচুর খেতে হবে। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। মনে রাখবেন, খাদ্যের পরিমাণ যাই হোক, তা পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পরেই পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে হজম হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। ওজনও বাড়বে।
সেহেরিতে অল্প পরিমাণ ভাত খান। সঙ্গে রাখুন মিক্সড সবজি, মাছ অথবা মাংস। খাদ্যতালিকা এভাবে প্রস্তুত করুন যেন পুষ্টির ঘাটতি না হয়। সেহেরির সময় ফল, বাদাম খেতে পারেন। ৪টি আখরোট খেলে সারাদিনের পুষ্টি পাবেন। ভাত খেতে না চাইলে সেহেরিতে দুটো রুটিও খেতে পারেন। তবে পরোটা বা নানরুটি খাওয়া যাবে না।
ভাত খাওয়ার পর দই খেতে পারেন। অনেকে চিড়া ও দই একসঙ্গে খান। এটি একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এই খাবারটি পানির তৃষ্ণাও মেটায়। তবে মিষ্টি দই এড়িয়ে চলুন।
অনেকে সেহেরিতে একসঙ্গে অনেক পানি খেয়ে ফেলেন। এমনটা করবেন না। সুস্থ থাকতে চাইলে ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত অল্প অল্প পানি বা তরল পদার্থ পান করুন। এতে দেহ আর্দ্র থাকবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সেহেরিতে খান লাল চালের ভাত। সঙ্গে রাখুন লাউশাক, কচুশাক, পটল, মিষ্টিকুমড়া, ঝিঙা, কচু ইত্যাদি। এর সাথে খান ১ টুকরো মাছ বা মুরগির মাংস। আধা কাপ ডাল খেতে পারেন। দুধ পানের অভ্যাস থাকলে সেহেরিতে এক কাপ লো ফ্যাট দুধ খেতে পারেন।
ইফতারে তো আমরা খেজুর খেয়েই থাকি। সেহেরিতেও ২/৩টি খেজুর খেতে পারেন। এতে সারাদিনের ক্যালরি পূরণ হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সেহেরিতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। সহজপাচ্য খাবার খেলে তা শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে। অনেকে দ্রুত সেহেরি খান। এই কাজটি করা যাবে না। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে। তাহলে আর বদহজম হবে না।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ