বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) লাইব্রেরি ভবনের দুইটি ফ্লোর নিয়ে গড়ে তোলা ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারটি যাত্রা শুরু করেছে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই শুরু হবে রোগী ভর্তির কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) নগরীর লালদীঘির দক্ষিণ পাড়ে আইসোলেশন সেন্টারটির উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় চসিকের প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, আইসোলেশন সেন্টারের সমন্বয়কারী চসিকের আরবান হেলথ প্রকল্প পিএ-১ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. মো. মুজিবুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে চসিক মেয়র রেজাউল বলেন, দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির শুরু থেকেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সতর্কতা ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সহযোগীতা ও সেবা দিয়ে নগরবাসীর পাশে থাকবে সিটি করপোরেশন। ইতোমধ্যেই করপোরেশন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ নানা সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, লাইব্রেরি ভবনে করপোরেশনের উদ্যোগে সদ্য প্রতিষ্ঠিত আইসোলেশন সেন্টারটির দ্বিতীয় তলায় ১৫ টি নারী ও ৩য় তলায় ৩৫ টি পুরুষ রোগীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৫০টি শয্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে বিশেষভাবে পদায়িত ১১ জন চিকিৎসকের পাশাপাশি ১২ জন প্যারামেডিকস, ৩ জন ফার্মাসিস্ট, ৮ জন ওয়ার্ডবয়, ২ জন স্টোর কিপার, ৩ জন ওয়ার্ড মাস্টার রোস্টার অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ ও ওষুধপত্র সহায়তা নিশ্চিত করবে করপোরেশন।
ডা. মুজিবুল আলম জানান, পরিস্থিতি বুঝে এ আইসোলেশন সেন্টার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। তখন শয্যা ও জনবল বাড়ানো হবে। প্রাথমিকভাবে চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা করোনা রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধপত্র-অক্সিজেন সাপোর্ট, খাবারসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সেবা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, রোগী পরিবহন ও স্থানান্তরের জন্য থাকবে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। চসিকের লোকজনই সেন্টারের রোগীদের করোনাসহ অন্যান্য টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট পরীক্ষাগারে পৌঁছে দেবেন। জটিল রোগীদের দ্রুত সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হবে।
বিএনএনিউজ/মনির