বিএনএ ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার(৫ এপ্রিল) থেকে এটি কার্যকর হয়েছে।কিন্তু সরকারের নির্দেশ, স্বাস্থ্যবিধিসহ কোন ধরনের নিয়ম ও আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছে না মানুষ। যে যার অযথা ও অবাধে ঘোরা-ফেরা করছেন। শুধু তাই নয়, রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ জেলা শহরগুলোতে রাস্তায় বাস ছাড়া সকল ধরনের পরিবহন দেখা যাচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা অবাধে চলাচল করছে।পুরোনো কায়দায় মানুষের জীবন বিপন্ন করে প্রতিযোগিতায় নেমেছে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসগুলো।পাশাপাশি করোনা ও লকডাউনে কোনো পরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
এদিকে, রাজধানীসহ দেশের জেলা ও মফস্বল এলাকার কাঁচাবাজারগুলোতে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। ক্রেতা বিক্রেতা কারো মুখেই নেই মাস্ক।অনেকের কাছে মাস্ক থাকলেও ব্যবহারে উদাসীন।উপেক্ষিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব।গাদাগাদি করে বেচা কেনা করতে দেখা যাচ্ছে।
নির্দেশনায় খোলা জায়গায় কাঁচাবাজার সরিয়ে নেয়ার কথা থাকলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। অনেকে বলছেন, স্থান সংকটের কারণে দোকান সরানো যাচ্ছে না।মূল সড়কের পাশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে থাকা দোকানপাট প্রায় সবই খোলা।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী খাবারের দোকান বন্ধ রাখার কথা।কিন্তু পুরো চিত্রটা উল্টো।সোমবার রাতভর রাজধানীসহ জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় হোটেলগুলোর ভেতরে এবং বাইরে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই ছিলনা। আগের বারের মত চোখে পরেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি।
পুলিশ বলছে, সন্ধ্যার পরে সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ি দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও, অনেকে মানছেন না। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শুধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপই যথেষ্ঠ নয়, সকলের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন বলে জানান তারা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুধু প্রজ্ঞাপন জারি করলেই চলবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে দেশে করোনা আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি