24 C
আবহাওয়া
৯:৩৮ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ৪৫ ঘন্টা পরও নেভেনি চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুন

৪৫ ঘন্টা পরও নেভেনি চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুন


বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেকের ইছানগর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও সম্পূর্ণ নেভেনি। গত সোমবার বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে আগুন লাগার পর আজ বুধবার পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, আগুন লাগা গুদামটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যে কারণে আগুন লাগার পর নেভানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পুরো গুদামটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো দুই থেকে তিনদিন সময় লেগে যেতে পারে।

দেখা গেছে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর অপরিশোধিত চিনি দাহ্য পদার্থের মতো জ্বলতে থাকে। এদিন  (৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যায় অগ্নিকান্ডস্থলে আসেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

পরিশোধিত চিনির মজুদ অক্ষত থাকায় দু’একদিনের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি।

আগুনের এ ঘটনায় বাজারে চিনির দামে প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুল আলম বলেন, উৎপাদনে যেতে দু’একদিন সময় লাগবে। আগুন নেভানোই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে বাজারে চিনির সংকট হবে না।

তার আগে গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার রাত ১১টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই নিয়ন্ত্রণ বলতে আগুন ছড়ানো বন্ধ হয়েছে। তবে আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরোপুরি নেভাতে আরও দুদিন সময় লাগতে পারে।

এস আলম গ্রুপের মানব সম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসাইন রানা বলেন, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের কয়েকটি গুদাম আছে। সব গুদামে অপরিশোধিত চিনি আছে। তবে একটি চিনির গুদামে আগুন লেগেছে। সেখানকার অপরিশোধিত চিনিই পুড়েছে। অন্যগুলো অক্ষত আছে।

ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কার্যালয়ের সহকারী আবদুল মালেক বলেন, সোমবার রাতে আগুনের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি। কারখানার আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও সময় লাগবে। কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ছিল না। এজন্য আগুন লাগার পর নেভানো সম্ভব হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরো জানান, সুগার মিলের আগুন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে অগ্নিনির্বাপক রোবট ‘লুফ-৬০’ ব্যবহার করা হয়েছিল। এ যন্ত্র দিয়ে মিনিটে এক হাজার লিটার স্পিডে পানি ছিটানো যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছে কোস্ট গার্ড, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট কাজ করেছে।

এদিকে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, আগুনের তাপে অপরিশোধিত চিনি আগ্নেয়গিরির লাভার মতো গলে পড়ছে। এসব গলিত চিনির কিছু অংশ মিলের পাশের কর্ণফুলী নদীতে পড়েছে। আগুনের তাপ ও গলিত চিনির লাভার চাপে হেলে পড়েছে গোডাউনের এক পাশের দেয়াল। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিএনএনিউজ/নাবিদ/এইচ.এম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ