ঢাকা: মগবাজার, পুরান ঢাকা, বেইলি রোডসহ বিভিন্ন স্থানে প্রাণঘাতি অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ি অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দায়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। জানা গেছে, গত সোম ও মঙ্গলবার অন্তত ৮০০ জনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে চালান দেয় পুলিশ।
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁর ভবনগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বন্ধ বা জরিমানা করে, সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ জানায় , রাজধানীর রমনা, লালবাগ, ওয়ারী, মতিঝিল, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা বিভাগ ৫৬২টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে। এর মধ্যে হোটেল বা রেস্তোঁরাই ৪৫৫টি। এর বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান ১০৪টি রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর ফুটপাতসহ অলিগলি ও প্রধান সড়কের পাশের দোকানে রাস্তার ওপর, দোকানের সরু স্থানে যেখানে কাস্টমাররা বসেন সেখানে ছোট বড় গ্যাস সিলিন্ডার রেখে গ্যাসের চুলা জ্বালানো হচ্ছে। সেখানে আগুন নির্বাপন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তার কোন বালাই নেই। রাজধানীর অলিগলির প্রায় ভবনের নিচে ছোট বড় অবৈধ রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেখানে বিপদজনকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। দোকানের একমাত্র প্রবেশ ও বের হবার পথে গ্যাস সিলিন্ডার এর সাহায্যে চুলার ব্যবহার জনমনে এখন ব্যাপক ভীতির সৃষ্টি করছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু ঘটে। আহত হন অনেকে।
এসজিএন/হাসনা