বিএনএ, ঢাকা :‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় এবং দেশব্যাপী জেলা-উপজেলায় বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ শনিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ধানমন্ডির ৩২ নং সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনধিক ৫০০ অতিথির আসন গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হবে এবং অন্যান্য অতিথি অনলাইনে অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। অনুষ্ঠানে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ এর ভাষণ প্রচার করা হবে এবং ডকুড্রামাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। তিনি বলেন,শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
ঢাকাসহ সকল জেলা ও উপজেলায় জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে নবীন প্রবীণ শিল্পী, রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে নিম্নোক্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে , বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী, নৃত্যশিল্পীগণের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন নিয়ে নাটক মঞ্চায়ন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র ওআলোকচিত্র প্রদর্শনী। এছাড়াও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সকল জেলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন (বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও নৃত্য)।
কে এম খালিদ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শূন্য ঝুঁকি নিশ্চিত করে স্ব-স্ব কর্মসূচি প্রণয়নপূর্বক দিবসটি উদ্যাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ও অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হয় সে সকল স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইনে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ বিষয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক গত ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি উদ্যাপনের উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়ভিত্তিক বণ্টনের আওতায় প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটি উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত এবং দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সচেতনতা আগামী প্রজন্মের মধ্যে যথাযথভাবে সঞ্চারণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে। এবছর থেকে দিবসটি জাতীয় ও আন্ত র্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে উদযাপন করা হবে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।