।। শামীমা চৌধুরী শাম্মী ।।
বিএনএ, ঢাকা: ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’ ছবিটি। ‘ভালোবাসাহীন ভালোবাসার গল্পের ছবি এটি। ‘পেয়ারার সুবাস’ ছবিতে পেয়ারা চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। আরও আছেন তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, সুষমা সরকার, নূর ইমরান মিঠু, মাহমুদ আলম প্রমুখ। তবে ছবিটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বলে জানালেন পরিচালক।
কেন ‘পেয়ারার সুবাস’ ছবিটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, এমন প্রশ্নে পরিচালক নুরুল আলম আতিক বলেন, ‘ছবিটির বিষয়বস্তু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। তাই আমরা বারণ করছি বাচ্চাদের সিনেমা হলে না আসার। এখানে মনস্তাত্ত্বিক বিষয় উঠে আসবে। পরিচালকের ধারণা, প্রাপ্তবয়স্ক এবং সাধারণ দর্শকরা “পেয়ারার সুবাস” দেখলে খুবই পছন্দ করবেন।’
আট বছর আগে শুটিং শুরু হয়ে চার বছর আগে শেষ হয় ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার কাজ। নির্মাণ শুরুর আট বছর পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে নূরুল আলম আতিক পরিচালিত এই সিনেমা। ২০১৬ সালে ‘পেয়ারার সুবাস’-এর শুটিং শুরু হয়েছিল। এরপর কয়েক দফায় শুটিং পিছিয়ে, নানা জটিলতা পেরিয়ে ২০২০ সালে এর চিত্রায়ণ শেষ হয়। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হতে লেগে যায় আরও তিন বছর। পরে সিনেমাটি ঘিরে আসে নতুন খবর। গত বছর ৪৫তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’।
প্রিমিয়ারের পর পরিচালকের সংবাদ সম্মেলনে সিনেমাটির প্রশংসা করেছিলেন বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সমালোচকেরা। সিনেমাটি গুরুত্বপূর্ণ এ উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিয়েছিল। উৎসবের আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছেন পরিচালক নুরুল আলম আতিক ও অভিনয়শিল্পী তারিক আনাম খান। আলফা-আই প্রযোজিত এ সিনেমায় সহপ্রযোজক হিসেবে রয়েছে চরকি।
এদিকে ছবিটি প্রসঙ্গে নুরুল আলম আতিক বলেন, ‘আমরা তেমন গন্ধের ছবি দেখি না। “পেয়ারার সুবাস”-এ গন্ধ হলো ট্রিগার পয়েন্ট। এটা শরীরের গন্ধ। সুগন্ধি হতে পারে আবার দুর্গন্ধ হতে পারে। সুগন্ধের সঙ্গে প্রকৃতির একটি অদ্ভুত কারবার আছে। বিপরীত লিঙ্গের যাদের প্রাণ আছে, তারা ঘ্রাণ থেকে জোড়া বাঁধে। “পেয়ারার সুবাস” ঘ্রাণ থেকে বিস্তৃতি লাভ করে। এ কারণে পেয়ারা নামের একটি মেয়ে ও গন্ধের তাড়নার জীবনে সম্পর্কগুলোর অবস্থান দেখানো হচ্ছে এতে।’
নুরুল আলম আতিক এ-ও বলেন, ‘আট বছর আগে এ ছবির যে প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন, সেটা এখনো আছে। তবে হ্যাঁ, যদি আট বছর আগে ছবিটি মুক্তি দিতে পারতেন, তাহলে দর্শকদের অ্যাপ্রোচটা হয়তো অন্য রকম হতো। ছবিটি যদি দর্শকদের মধ্যে সুবাস ছড়াতে ব্যর্থ হয়, তবে নির্মাতা হিসেবে ব্যর্থতার দায়ভার নিবেন পরিচালক আতিক।
ছবিটি নিয়ে জয়া আহসান বললেন, ‘আমি ছবিটি নিয়ে বলতে পারি, এটি একটি দুর্ধর্ষ ছবি। আতিক যে বিষয়টি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছে, এ ধরনের বিষয় সাধারণত কেউ স্পর্শ করে না। কেউ সাহস দেখায় না। সেই হিসেবে আতিক এমন একটা বিষয় নিয়ে ছবি নির্মাণের সাহস দেখিয়েছে।’
বিএনএনিউজ/ বিএম/এইচমুন্নী