বিএনএ: ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ঔষধ আইন ২০২২-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই আইনে নতুন করে কসমেটিক বিক্রির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত বছরের ১১ আগস্ট ঔষুধ আনার খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
সভা শেষে সচিবালয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, ‘আগের দুইটি আইনকে এক করে সেখানে নতুন কিছু বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করে ঔষধ আইন করা হচ্ছে। এই আইনের খসড়ায় নতুন করে কসমেটিকের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করলে এবং সরকারি ওষুধ বিক্রি করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
এই আইন পাস হলে কসমেটিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিতে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাহবুব হোসেন বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণ করতে আইনে একটি ধারা রাখা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এ আর