বিএনএ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, ঘাতক ব্যাধি জলাতঙ্কের প্রধান বাহক কুকুর। এছাড়া বিড়াল, বেজি ও শিয়ালের আঁচর-কামড় থেকেও এ রোগ হতে পারে। জলাতঙ্ক একদিকে শতভাগ বিপজ্জনক হলেও তা শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। আক্রান্তের পরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক যথাসময়ে এন্টিরেবিস টিকা প্রদান করে প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ নিশ্চিত করা যেতে পারে। জলাতঙ্ক এখন পূর্বের মতো ভয়ের বিষয় নয়, বরং মানুষ সচেতন হলেই এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘পশুর কামড় ব্যবস্থাপনা ও জলাতঙ্ক নজরদারি সম্পর্কিত জাতীয় নির্দেশিকা আপডেট প্রশিক্ষণ কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের আওতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. ফজলে রাব্বি বলেন, কুকুর বা সন্দেহভাজন জলাতঙ্কগ্রস্থ প্রাণি দ্বারা আক্রান্তের পর রোগীর দেহে সৃষ্ট ক্ষতস্থান খুব দ্রুত ক্ষারযুক্ত সাবান ও প্রবাহমান পানি দ্বারা ১৫ মিনিট ধৌত করা হলে সেখানে নিপতিত রেবিস ভাইরাস অপসারিত বা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করেই প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এ ভয়ংকর ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিডিসি’র সহকারী পরিচালক (এসেসমেন্ট-১) ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশী, সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মাকসুদা খানম ও সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার ডা. শতাব্দী কর।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিডিসি’র সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার ডা. ফজলে রাব্বি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ), সিনিয়র স্টাফ নার্স ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম