ঢাকা: সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতিটি হজ এজেন্সির জন্য ন্যূনতম ১,০০০ জন হজযাত্রীর কোটা বহাল রাখা হয়েছে। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সৌদি মন্ত্রণালয়ের একটি পত্রে এই তথ্য বাংলাদেশকে জানানো হয়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, সৌদি মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রথমে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম কোটা ২৫০ জন এবং পরে ৫০০ জন করার প্রস্তাব দিয়ে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীকে দুটি পৃথক পত্র পাঠান। তবে, সৌদি মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কমিটি হজযাত্রীর এই কোটা কমানোর প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
এ পরিস্থিতিতে গত ৪ জানুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম অডিটোরিয়ামে হজ পরিচালনাকারী এজেন্সি মালিক ও পরিচালকদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানে এজেন্সি মালিকরা হজযাত্রীর কোটা কমানোর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহযোগিতা চান।
পরবর্তী সময়ে, আজ (৬ জানুয়ারি), প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সাক্ষাৎকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টা হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং সৌদি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন/এইচমুন্নী