বিএনএ, ঢাকা: নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিইসির ভাষণটি সম্প্রচার করা হয়।
সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচনে ২৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ২৯৯টি আসনে এক হাজার ৯৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সরকার আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে একাধিকবার নিজেদের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সব সহায়তা গ্রহণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অনাগ্রহী নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আমরা একাধিকবার সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু তারা সাড়া দেননি। আপনারা জানেন পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য আমরা নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিয়েছি।
সিইসি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
ভোটারদের উৎসবমুখর পরিবেশে নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে তিনি আহ্বান জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে পরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার, এপিবিএন এবং কোস্টগার্ড। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাড়ে সাত লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি। এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।
বিএনএ/এমএফ