বিএনএ ঢাকা: দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় একে একে সব পদই খোয়াতে হলো বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে।
প্রথমে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও পদ হারিয়েছেন তিনি। সবশেষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদও হারালেন এই বিএনপি নেতা।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ফোরামের দফতরের দায়িত্বে থাকা অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুবের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তৈমুর আলম খন্দকারকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সজল।
১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকারসহ দলটির পাঁচ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। পরে তৈমূর ছাড়া সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
মনোনয়ন জমার শেষ দিন দলীয় নির্দেশে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন সাখাওয়াত হোসেন। এতে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হন তৈমূর আলম।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে দাঁড়ানোয় ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের পর প্রথমে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ হারান তৈমুর আলম খন্দকার।
গত ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক পদে তৈমূরের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। গত রোববার হারান উপদেষ্টার পদ।
এদিকে, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টিকে দলের ‘সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত’বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন তৈমূর আলম। দল তাকে জনগণের জন্য মুক্ত করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে বিএনপ ‘র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এই কারণে এবারের স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেয়নি দলটি। তবে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অনেকে জয়ীও হয়েছেন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি