26 C
আবহাওয়া
৩:৩৬ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা ছিল, আমাদের বড় ব্যর্থতা-হাছান মাহমুদ

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা ছিল, আমাদের বড় ব্যর্থতা-হাছান মাহমুদ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বিশ্ব ডেস্ক : শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ছোট বড় নেতারা। এদের মধ্যে অন্যতম সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও।

রোববার(৩ নভেম্বর) লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল সে বিষয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি অবশ্যই সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম আমাদের এ জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে বিএনপিকে আমরা একোমডেট করে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার পথে হেঁটেছে। তারপরও আমি মনে করি আমরা যেহেতু সরকারে ছিলাম তাদেরকে আনতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। যদিও-বা তারা সব সময় আমাদের এভাবে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটি আমাদেরও ব্যর্থতা। এটি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এটা আমার দলীয় বক্তব্য নয়।

তিনি বলেন, দেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সাথে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সাথে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবসহ তাদের শীর্ষ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা- এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। এছাড়াও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রশ্ন থেকে শুরু করে দেশে যাতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানকেও সাধুবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, কোনো সরকারই কিন্তু শেষ সরকার নয়, মনে রাখতে হবে; আমাদের ক্ষেত্রে আমরাও শেষ সরকার ছিলাম না।

আওয়মী লীগের এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের আগে যেটি বেশি দরকার, সেটি হচ্ছে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মূল দায়িত্বটা হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, আমি তার সাথে শতভাগ একমত। আমি মনে করি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই রাষ্ট্র সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়া তিন মাস, ছয় মাস, তিন বছরে শেষ হয়ে যায়, তা নয়। সূত্র : যুগান্তর

আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বর্তমানে ইউরোপের একটি দেশে রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন/এইচমুন্নী 

Loading


শিরোনাম বিএনএ