বিএনএ ডেস্ক: গত সপ্তাহে হরতাল-অবরোধের পর আজ রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী কয়েকটি দলের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে।
এদিকে অবরোধের আগের রাতে রাজধানীতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরেও কয়েকটি স্থানে গাড়িতে আগুনের খবর পাওয়া গেছে। আগের বারের তিন দিনের অবরোধ চলাকালে সারাদেশে অন্তত ৮৫টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। মারা যান তিনজন।
অন্যদিকে সরকার বিরোধীদের অবরোধে সড়ক, রেল ও নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি। মালিক পক্ষ এবারও অবরোধে গাড়ি চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও অবরোধ ঠেকাতে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি জানায়, যারা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে কাজ চলমান। হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে কোন কোন এলাকায় আগুন দেওয়া হয়, কারা এসব অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং যাত্রীবেশে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বাসে আগুনের ঘটনা কমিয়ে আনতে পরিবহনগুলোতে গোয়েন্দা সদস্যদের উপস্থিতি ও নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যান চলাচলে যেন কোনো বাধার সৃষ্টি না হয় সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করবে র্যাব। পরিবহন মালিক বা সংশ্লিষ্টরা চাইলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত। এক্ষেত্রে কাছাকাছি সময়ে চলাচলকারী ৮/১০টি বাস একসঙ্গে ছাড়তে হবে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকার জানান, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধে ঢাকাসহ সারাদেশে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে। সব রুটে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সমিতি বা কোম্পানিভুক্ত মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, অবরোধে ট্রেনের কোনো সময়সূচি পরিবর্তন হবে না। ট্রেন সময়মতো চলবে।
লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমরা এবারও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করব। তবে এটা যাত্রীর ওপর নির্ভর করবে। তবে একদম বন্ধ থাকবে না।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ