সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় আহতদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা একটি বিস্তৃত ও অনন্য সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এই উদ্যোগের জন্য রাজধানী ঢাকার কম ব্যবহৃত কোনো হাসপাতাল ব্যবহার করে আহতদের চক্ষু, থোরাসিক সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, নিউরোসার্জারি, আইসিইউ, ফিজিওথেরাপি, সাইকোলজি কাউন্সেলিংসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিলেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আহদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কেমন ভূমিকা নেওয়া উচিত তাও পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
পিনাকী ভট্টাচার্যের পোস্ট বিএনএ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আমি যদি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হইতাম তাইলে জুলাই আগস্ট বিপ্লবে আহতদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করতাম।
ঢাকা শহরে কোনো একটা কম ব্যবহৃত হাসপাতালের পুরোটা বা একাংশ নিয়ে কাজটা শুরু করতাম। আমি যেহেতু ছয় বছর দেশে নাই, তাই জানি না কোন হাসপাতালের অবস্থা কেমন। যখন দেশে ছিলাম তখন সোহরাওয়ার্দী সবচেয়ে আন্ডার ইউটিলাইজড হাসপাতাল ছিলো।
যাই হোক, ওইখানে আহতরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারতো। ওই হাসপাতালে আমি চক্ষু, থোরাসিক সার্জারী, অর্থোপেডিক্স, ক্যাজুয়ালিটি, গাস্ট্রো ইন্টেস্টিনাল সার্জন, নিউরো সারেজারি, আইসিইউ, হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট, ফিজিওথেরাপি, সাইকোলজি কাউন্সেলিং, প্লাস্টিক সার্জারি, কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন ইউনিট এক জায়গায় আনতাম।
হাসপাতাল ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব দিতাম স্টার রেস্টুরেন্টকে, হাউজকিপিংয়ের দায়িত্ব দিতাম পূর্বানী হোটেলকে। বাংলাদেশের সেরা ডাক্তারদের, সেরা নার্সদের এইখানে পোস্টিং দিতাম, তাদের ন্যাশনাল হিরো বানায়ে দিতাম।
চিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব নিতাম। যাদের বাংলাদেশে চিকিৎসা সম্ভব না, তাদের এইখান থেকেই বিদেশে পাঠাতাম। আমি হয়তো সিলেক্ট করতাম মালোয়েশিয়া। কিছু ডাক্তার হায়ার করতাম কিউবা থেকে। ওরা টাকার বিনিময়ে ডাক্তার দেয়।
আহতদের প্রত্যেককে আলাদা টিভি আর ল্যাপটপ দিতাম। ফ্রি হাই স্পিড ওয়াই ফাই থাকতো। আশেপাশে বাসা ভাড়া নিতাম সেইখানে গেস্ট হাউজ বানাতাম আহতদের পরিবারের জন্য। আহতদের পরিবারের দুইজন সদস্যদের জন্য চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে থাকা আর খাওয়া ফ্রি।
একটা পুনর্বাসন ইউনিট করতাম। ওইখানে কিছু বিজনেস গ্রাজুয়েট বসায়ে দিতাম। তারা প্রত্যেকের পুনর্বাসনের জন্য আলাদা পরিকল্পনা আর আলাদা বাজেট করতো। এই বাজেটের জন্য আমি প্রফেসর ইউনুসের পিছে লাইগ্যা না থাইক্যা বাংলাদেশের বিজনেস টাইকুনদের ধরে কইতাম- এরে পুনর্বাসিত করার টেকা দেন। বিজনেস টাইকুন আগে আমারে দুইবার সালাম দিতো তারপরে কইতো যথা আজ্ঞা জনাব।
একেকজন আহত চিকিৎসা সম্পূর্ণ করে ফিরে যাবে তাদের নিয়ে পত্রিকায় আলাদা স্টোরি করতাম।
বলে দিলাম। এখন দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন।’