24 C
আবহাওয়া
৯:৩০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » প্যানডোরা পেপারস কেলেঙ্কারিতে শচীনসহ ৩শ ভারতীয়

প্যানডোরা পেপারস কেলেঙ্কারিতে শচীনসহ ৩শ ভারতীয়

প্যানডোরা পেপারস কেলেঙ্কারিতে শচীনসহ ৩শ ভারতীয়

বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক :বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের একটি প্যানডোরা পেপারস কেলেঙ্কারি। যাকে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির পর আর্থিক লেনদেনের সবচেয়ে বড় গোপন নথি ফাঁসের ঘটনা মনে করা হচ্ছে। এ কেলেঙ্কারিতে নাম এসেছে ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ও স্ত্রী অঞ্জলি টেন্ডুলকারের।

ইন্টারন্যাশনাল কনসোরটিয়াম অফ ইনভেসটিগেটিভ জার্নালিজম (আইসিআইজে) যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে ৩শ ভারতীয় এবং সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে শচীন অন্যতম।

ক্রিকেট জগতে ঠাণ্ডা মাথার খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ব্যক্তি জীবনেও নীতি-আদর্শের মানুষ শচীন। যুবসমাজের ক্ষতি হতে পারে-এমন বিজ্ঞাপনও  করতে রাজি হননি তিনি।কিন্তু সেই মানুষটি  এবার প্যানডোরা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়লেন!

প্রকাশিত গোপন নথিতে দাবি করা হয়, শচীন ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছিলেন। ২০১৬ সালে সেই বিনিয়োগের অর্থ তুলে নেন। এই বিনিয়োগটি অবৈধ ও অনৈতিক, দাবি করেছে নথি প্রকাশের কর্ণধার অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআইজে।

কেলেঙ্কারিতে নাম আসার পর এ কথা অস্বীকার করে শচীনের আইনজীবী বলেছেন, বৈধ উপায়ে তিনি এসব লেনদেন করেছেন। সেগুলোর জন্য কর্তৃপক্ষকে করও প্রদান করেছে টেন্ডুলকার পরিবার। বিনিয়োগ ভাঙানোর পরেও তার জন্য প্রয়োজনীয় ভারতীয় কর দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে সমস্ত ফাইল তৈরি আছে বলে জানান আইনজীবী।

ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং বিজনেস টাইকুন অনিল আম্বানি। বিদেশে তারও বিপুল সম্পত্তি আছে বলে তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেছে প্যানডোরা পেপারস। ১৮টি অ্যাসেটের মাধ্যমে তিনি বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ জমিয়ে রেখেছেন বলে দাবি করা হয়। তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি অনিল আম্বানি।

নীরব মোদীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা চলছে ভারতের আদালতে। যদিও সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার আগেই বিদেশে পালিয়ে যান নীরব। তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির সরকার।

প্যানডোরা পেপারসে তার বিরুদ্ধে যে তথ্য এসেছে সেখানে বলা হয়েছে, নীরব মোদী তো বটেই তার বোনেরাও  বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিনিয়োগ করেছেন। দেশ ছেড়ে পালানোর একমাস আগে বিদেশে একটি ট্রাস্ট তৈরি করে অর্থ জমানোর ব্যবস্থা করেন তিনি।

ভারতের নাম করা কনস্ট্রাকশন সংস্থা বিওকন। যার অন্যতম প্রধান হচ্ছেন কিরণ মজুমদার। প্যানডোরা পেপারসে শুধু তিনি নন, তার স্বামীও বিদেশে ট্রাস্ট তৈরি করে কর ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বিওকনের বিরুদ্ধেও সমস্ত তথ্য প্যানডোরা পেপারসের হাতে আছে বলে দাবি করেছেন সাংবাদিকরা।

প্যানডোরা পেপারসে ভারতের মোট ছয়জন রাজনীতিবিদের নাম  উঠে এসেছে। এছাড়াও বেশ কিছু সংস্থা এবং ব্যক্তির নামও রয়েছে। সব মিলিয়ে ৩শ জনের নাম বলা হয়েছে। তবে, সবার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিস্তারিত রিপোর্ট এখনও সামনে আনা হয়নি।

এ বিষয়ে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। রাজনীতিবিদ থেকে ব্যবসায়ী সকলেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। সমস্ত তথ্য সামনে এলে প্যানডোরার বাক্স খুলে যাবে-এমন নয় যে, সরকারের হাতে এসব তথ্য নেই। কিন্তু সবক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া প্রায় অসম্ভব বলে জানান তিনি।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ