বিএনএ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা ভি জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী উঠেছেন হোটেল আইটিসি মাওরায়।
এর আগে সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটে উঠেছেন ১৭০ সফরসঙ্গী। তাদের মধ্যে দেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, শীর্ষ কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীরা রয়েছেন।
এই সফরে ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্র তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু কূটনৈতিক পর্যায়ে সাফল্যের বিষয়টি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। কারণ বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় আগ্রহের বিষয় তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে বড় কোনো অগ্রগতির সংবাদ এখনও জানা যায়নি।
দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সরবরাহ ও সহযোগিতার জন্য দিল্লিকে প্রস্তাব দেবে ঢাকা। এ বিষয়ে ভারতের সম্মতি পাওয়া গেলে এই ইস্যুতে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত বুঝতে চাইবে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বাস্তব রূপ।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যবহারসহ ছয়টি নদীর পানিবণ্টন-বিষয়ক সহযোগিতা নিয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা রয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব (সিইপিএ) বা সেপা চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য যৌথ ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।
এই চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আকার ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায় ভারত।
ভারত বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে যৌথ প্রতিরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনে একটি কাঠামো নির্মাণ (সামরিক সরঞ্জাম কারখানা স্থাপন) চুক্তির জন্য জোর দিচ্ছে। অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরির বিষয়ে এই চুক্তিকে ভারত অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ পর্যন্ত ১২ বার সাক্ষাৎ করেছেন। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে ঢাকায় তাদের প্রথম বৈঠক হয়।
বিএনএ/এ আর