বিএনএ, চট্টগ্রাম : সমাজের এলিট ও অগ্রসর শিক্ষিত শ্রেনী তারা । করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সর্বাত্মক প্রচারণা ছিল তাদের । কিন্তু নিজেদের কেবিনেট সভায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে গরজ নেই কারো। অল্প কয়েকজন ছাড়া কারো মুখে মাস্ক নেই । সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেনা কেউ। এমনটা দেখা গেছে টাইগারপাসস্থ নেভি হলে অনুষ্ঠিত লায়ন্স জেলা ৩১৫-বি৪ এর প্রথম কেবিনেট সভায়।শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টা থেকে টানা রাত ১০ টা পর্যন্ত তাদের এ অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠানে লায়ন্সের হর্তাকর্তা ও গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে ,ইনডোর মিটিংয়ের ক্ষেত্রে সময় স্বল্পতার কথা বলা হলেও তা মানছেনা আয়োজকরা। অতিথিরা গাদগাদি করে ছবি তুলছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। এ ছাড়া হ্যান্ড স্যানিটা্ইজারের ব্যবস্থাও চোখে পড়েনি আয়োজন স্থলে।
উল্লেখ্য,জনসাধারণের জীবিকার কথা চিন্তা করে গত ১১ ্আাগস্ট থেকে সর্বাত্মক লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। চালু হয়েছে দোকানপাট ও বিপণিবিতান। সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও অর্ধেক গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে ১৯ আগস্ট থেকে পুরোদমে সারাদেশে চালু হয়েছে গণপরিবহণ, ট্রেন ও লঞ্চ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোও খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তবে পর্যটনকেন্দ্র-রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে সর্বশেষ যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল সেটা শিথিল করে গত ৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।সে অনুযায়ী ১১ আগস্ট থেকে কিছু শর্ত মেনে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলেছে শপিংমল সহ অন্যান্য দোকানপাটও।
বিএনএ/ ওজি