বিএনএ ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ১৪ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৫ জুন) বিকেলে তাদেরকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন দগ্ধ মো. ফারুক (৪২) ও রাসেল (৩৯)।
তারাজান ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে ঘটনার ভিডিও করছিলেন। এ সময় একের পর এক বিস্ফোরণে তারা দগ্ধ হন।কনটেইনার ডিপোতে এই রকম বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে তা আমার বয়সে এই প্রথম দেখলাম। রাসেল কোনমতে কথা বলতেছিল জীবিত থেকে কিয়ামতে আলামত দেখলাম। মূহুর্তের মধ্যে সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল আমার।
রাসেলের ভাই মো. রবিউল জানান, রাসেল ও ফারুক নারায়ণগঞ্জ প্রাইম কালচার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কনটেইনার মালবাহী গাড়ি চালক। শনিবার তারা মোট পাঁচটি কনটেইনার নিয়ে ওই ডিপোতে গিয়েছিলেন। আগুন লাগার পর তারা সেখান থেকে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও করছিলেন। তখন বিস্ফোরণ হলে তারা ছিটকে পড়েন। সেখান থেকে বের হতেও পারছিলেন না তারা। তখন ডিপোর বাউন্ডারির দেওয়াল ভেঙে তাদেরকে বের করা হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় স্হানীয় একটি ক্লিনিকে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটর আবাসিক সার্জন ডা. এস. এম. আইউব হোসেন বলেন, আমাদের এখানে এই পর্যন্ত ১৪ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের চিকিৎসাও চলছে। তবে সবারই অবস্হা আশংকাজনক। সীতাকুণ্ডে ট্র্যাজেডির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে প্রায় দেড়শতাধিক।
দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, আরো দগ্ধ রোগী আসবে জানা গেছে। তারা আরও জানা, রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত আছে।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি