বিএনএ, মিয়ানমার ডেস্ক : ক্ষমতায় যেতে পারলে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার (ছায়া সরকার) বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেবে। জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সম্ভাব্য সংখ্যালঘুনীতিতে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে
সিএনএন ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে এনইউজির সংখ্যালঘুনীতি প্রকাশ করা হয়। এ সময় সামরিক জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রোহিঙ্গাদের সাহায্য চাওয়া হয়। পাশাপাশি, দেশটিতে বিদ্যমান ১৯৮২ সালের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে মিয়ানমারে জন্ম নেওয়া বা বিশ্বের যে কোনো স্থানে জন্ম নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সন্তানদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করে এনইউজি।
২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের চেয়ে ঐক্য সরকারকেই বাংলাদেশের সমর্থন করা উচিত বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সরকারকে হটিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এর পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে গোটা মিয়ানমার উত্তাল হয়ে ওঠে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আট শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং কয়েক হাজার মানুষকে বন্দি করা হয়েছে। এ অবস্থায় সামরিক জান্তাকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে একটি ছায়া সরকার গড়ে তোলেন মিয়ানমারের রাজনীতিবিদরা। এর বেশির ভাগ সদস্যই এনএলডির। জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) নাম দিয়ে এটিকে মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে তারা দাবি করছেন। জান্তা সরকার এনইউজিকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনএ/ ওজি