বিএনএ, ডেস্ক : প্রায় ৫০ বছর পর আবারও চাঁদে মানুষের পা পড়তে চলেছে। তবে এবার একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে চলেছে একসঙ্গে। কারণ এই প্রথম চাঁদে যাবেন কোনো নারী নভোচারী। এ ছাড়া এই প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ ও কোনো কানাডিয়ান চাঁদে যাচ্ছেন। এবার যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী ও এর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে আগামী বছর নভেম্বরে ঐতিহাসিক ‘আর্টেমিস টু’ চন্দ্রযান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে গবেষণা সংস্থাটি।
সোমবার (৩ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, দীর্ঘ ৫০ বছর পর চন্দ্রাভিযানের জন্য নাসার নভোচারী রেইড ওয়াইজম্যান, ভিক্টর গ্লোভার ও ক্রিস্টিনা কচ এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির জেরেমি হানসেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণাগারে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। নারী হিসেবে সবচেয়ে বেশি দিন মহাকাশের গবেষণাগারে সময় কাটিয়েছেন চাঁদে পা দিতে যাওয়া নারী ক্রিস্টিনা কচ। সব মিলিয়ে তিনি সেখানে ছিলেন ১১ মাস।
১৯৬৯ সালে প্রথম চন্দ্রাভিযানে যোগ দেওয়া নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও এডউইন অলড্রিনের পর এই চারজন চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চন্দ্রাভিযানে এবারই প্রথম এক নারী ও এক কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী যোগ দিচ্ছেন। সোমবার টেক্সাসের হিউস্টনে নাসা জানায়, ‘আর্টেমিস টু’ চন্দ্রযানটি ১০ দিনের অভিযানে থাকবে। এর আগে ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযানের নাম ছিল অ্যাপোলো এক্সপ্লোরেশন। এবার চাঁদে পৌঁছে প্রথমে তার কক্ষপথ ঘুরে দেখবেন মহাকাশচারীরা। তারপর তাঁরা চাঁদে পা দেবেন। এর ঠিক পরই আরও একটি চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা আছে নাসার। সে বিষয়ে অবশ্য এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। আলজাজিরা।
বিএনএনিউজ/ বিএম