19.5 C
আবহাওয়া
৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার: এনু-রূপমের রায় ৬ এপ্রিল

অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার: এনু-রূপমের রায় ৬ এপ্রিল

এনু - রুপন ভূঁইয়া

আদালত প্রতিবেদক: ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা পুরান ঢাকার দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু – রুপন ভূঁইয়া। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ১২টি মামলা হয়।

মামলাগুলোর মধ্যে রাজধানীর ওয়ারী থানার মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার রায় ঘোষণার দিন ৬ এপ্রিল (বুধবার) ধার্য রয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। গত ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম। মামলার অন‌্য আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অন‌্য ৬ আসামি কারাগারে আছেন।

রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম।

তিনি বলেন, ‘আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। কাজেই আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।’ এনু-রুপনের আইনজীবী রাজীব সরকার বলেন,‘আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আসলে তা সত্য নয়। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই আমরা প্রত্যাশা করছি আসামিরা খালাস পাবেন।’

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রীটের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা তাদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার জন্য কালামের বাসায় রেখেছিল।

আসামিরা জেনে-বুঝে অবৈধ প্রক্রিয়ায় উপার্জিত অর্থ আড়াল করার জন্য গোপনে কালামের কাছে রাখে। কালাম তা গ্রহণ করে নিজের কাছে রাখে। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী। গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বিএনএ নিউজ/Shahidul, GN

Loading


শিরোনাম বিএনএ