বিএনএ নারায়নগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চ ডুবির কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি জানান, লঞ্চ ডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট খাদিজা তাহেরীকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত কমিটিতে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের প্রতিনিধি এবং সদরের ইউএনওকে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান,নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। আহতদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সাঁতরে প্রায় ২০ জন তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।এছাড়াও, লঞ্চ ডুবির ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
এদিকে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনের দেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে, তারা হলেন- মুন্সিগঞ্জ সদরের মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), সদরের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮)।
অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) মর্গে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৮ জন।যাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ এবং নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল। এরই মধ্যে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত হয়েছে। নদীর দুপাড়ে স্বজনদের খোঁজে অপেক্ষায় রয়েছে বহু মানুষ।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠে যান।
বিএনএনিউজ/বুলবুল,আরকেসি