25 C
আবহাওয়া
৭:১৩ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ: ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ-সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। এ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৪ মার্চ) কাতারের রাজধানী দোহায় বিশ্বের এলডিসিভুক্ত তথা অনুন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনে (এলডিসি ৫: সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) যোগ দিতে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-৩২৫) স্থানীয় সময় শনিবার (০৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

কাতার সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে, প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাসহকারে তার বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে যাত্রা করে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এ সম্মেলনে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে সহজ উত্তরণের জন্য বৈশ্বিক সমর্থন চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ৫-৯ মার্চ দোহায় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ‘এ’ গ্রুপের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এটি ঢাকার শেষ অংশগ্রহণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে ফোরাম থেকে উত্তরণ লাভ করতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি এলডিসি ৫ সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ ছাড়াও কাতারের আমিরসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

৮ মার্চ পর্যন্ত কাতারে অবস্থানকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। জ্বালানি খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে।

এদিকে, সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস বলেন, রাক্ষুসে সুদের হার আর পঙ্গু করে দেয়ার মতো জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে দরিদ্র দেশগুলোর গলা টিপে ধরছে ধনী দেশগুলো।

গুতেরেস বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতি ও স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতির প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়ার ‘দুষ্ট চক্রে আটকে থাকা’ দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার জন্য উন্নত দেশগুলোর বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার দেয়া উচিত।

অনুন্নত দেশগুলোকে লক্ষ্য করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে আপনারা দায়ী না হলেও এই বিপর্যয়ের সাথে লড়াই করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায় যখন খাদ্যমূল্য আকাশচুম্বী’ ও প্রাপ্ত আর্থিক সহায়তা ‘বালতিতে এক ফোটা পানির মতো। জীবাশ্ম জ্বালানির নিয়ন্ত্রকরা প্রচুর মুনাফা করছে, যখন আপনাদের দেশে লাখ লাখ মানুষের খাবার জোগাড় হচ্ছে না।

বিএনএনিউজ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ