বিএনএ ঢাকা: খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক শাস্তি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে বন্দি রেখে সরকার পথের কাঁটা দূর করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন কেড়ে নিতে চক্রান্ত চলছে। এ জন্যই সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। খালেদা জিয়া না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না। খালেদা জিয়া বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না। জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর যেমন বিএনপি শেষ হয়ে যায়নি,তেমনি সামনেও হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। রাজপথে জনগণের সঙ্গে থেকে বেড়ে উঠেছেন। খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি আছেন বলেই সার্ভভৌমত্ব রক্ষিত আছে। এজন্য তাকে ফিরিয়ে আনতে তরুণদের জেগে উঠতে হবে।
ছাত্রনেতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সকল বিজয় অর্জন হয়েছে। আবারও ছাত্রদলকে জেগে উঠতে হবে। বিদেশে খালেদা জিয়া’র চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন মির্জা ফখরুল।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে জামিন ও খালাস দেয়া হয়। অথচ সরকার খালেদা জিয়াকে ন্যূনতম মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না সরকার।
এদিকে, সমাবেশকে ঘিরে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা বাকবিতণ্ডা এবং হাতিহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
পুরানা পল্টন থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করে নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের এই সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন তারা। সমাবেশের কারণে এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
দলীয় নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় দশ দিনব্যাপী বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। শনিবার ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি