বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ২০২২ সালে তার দেশের নৌবাহিনীতে জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত হবে। এরইমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
বুধবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “এখন হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার এবং রোবটিক সিস্টেম তৈরি করা দরকার যা শত্রুর হামলাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে। এর অর্থ হচ্ছে এসব অস্ত্র তৈরির মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হবে।”
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্র থেকে এবং স্থলভাগ থেকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে গত জুলাই মাসে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন যে, তার দেশ আমেরিকা এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি করছে।
কত দ্রুত ছুটতে পারে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র?
অনেকেই জানেন যে শব্দের গতি হচ্ছে প্রতি সেকেণ্ডে ১,১২৫ ফুটের মত।
অনেক সামরিক জেট বিমান বা অধুনাবিলুপ্ত কনকর্ডের মত যাত্রীবাহী বিমানও এর চেয়ে বেশি দ্রুত অর্থাৎ ‘সুপারসনিক’ গতিতে উড়তে পারে।
কিন্তু একটা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুটতে পারে শব্দের চেয়ে পাঁচ থেকে নয় গুণ বেশি গতিতে।
এটা থেকে খানিকটা ধারণা পাওয়া যায় যে এই মিসাইল কত দ্রুতগামী এবং কেন এর মোকাবিলা করা কঠিন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।