বিএনএ, ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। এ সময় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ১ নম্বর ফটকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তার সঙ্গে তাদের দুই সন্তান ছিল।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে আল আমিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ইসরাত। যৌতুকের জন্য মারধর ও বাচ্চাসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে দেন তিনি।
লিখিত অভিযোগটি শুক্রবার মামলা আকারে নথিভুক্ত করে পুলিশ। একইদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই ক্রিকেটার আল-আমিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট আল আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। তার স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। আল আমিন তার (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবেন না, তাকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল আমিন তার সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন।
মামলায় বলা হয়, ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা দাবি করা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধর করার পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন।
বিএনএ/আজিজুল, এমএফ