বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক:আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে কয়েকজন আইনপ্রণেতাকে লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় চার জন নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে কাবুলের অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোনখ্যাত কূটনৈতিক পাড়ায় এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাসভবন লক্ষ্য করে হলেও তিনি অক্ষত আছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফলভাবে হামলা প্রতিরোধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের হত্যা করেছে। চার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ২০জন আহত হয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত আটটায় হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গ্রিনজোনখ্যাত কূটনৈতিক ও মন্ত্রিপাড়া। হামলায় বাসভাবনের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মদী বলেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বাসভবন লক্ষ্য করে ওই গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়েছে। তবে ওই সময়ে বাইরে থাকায় বেঁচে যান। এ ধরনের ঘৃণ্য হামলা চালিয়ে দেশরক্ষার মহান দায়িত্ব থেকে তাকে পিছু হঠানো যাবে না বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সংবাদ মাধ্যম এপি জানায়, ওই হামলার পরপরই বাসভবনের বাইরে অতর্কিত গুলি চালায় বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। বোমা হামলার প্রায় দুই ঘন্টা পর একই এলাকায় আরও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, দেশটির হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহ্সহ দেশটির প্রধান তিনটি শহর দখলে মরিয়া তালেবান তাদের অগ্রযাত্রা অব্যহত রেখেছে। মঙ্গলবারও প্রধান এ তিনটি শহরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গার রাস্তায় বেশ বহু মানুষের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলেও জানা গেছে।গোষ্ঠীটিকে রুখতে সেনা অভিযান জোরদারের ঘোষণার পর থেকেই সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহরটিতে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানজুড়ে তালেবানের অগ্রযাত্রা এবং চলমান সংঘাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
1