বিএনএ, চবি: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইট এলাকার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘন্টা মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই ২০২৪) বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে সমাবেশ শুরু হয়। পরে রায় বহাল থাকছে জেনে শহীদ মিনার থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেইটে সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা “সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে”, “মেধা না কোটা? মেধা, মেধা”, “মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না বৈষম্যের ঠাঁই নাই, আমার সোনার বাংলায়, ” দেশের মেধা দেশেই থাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক,” স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরাা। এছাড়া বিভিন্ন গানের মাধ্যমে কোটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাঁরা।
দর্শন বিভাগের অনার্সের শিক্ষার্থী রাসেল আহমেদ বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা নিশ্চয় নিজেদের সন্তান আর নাতি-নাতনির কোটার জন্য লড়াই করেননি। তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাহলে আজ কেনো এই বৈষম্য। আমাদের দাবি আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। তার মানে রায় বহাল থাকছে। আমরাও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। প্রয়োজনে জীবন দিবো তবুও দাবি আদায় করে ছাড়বো।
শুরু থেকেই চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো: ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিএনএ/সুমন/এইচ.এম/হাসনা