বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে গতকাল (শুক্রবার)৩ মিনিট চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ৩ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ও উৎসব ২০২২ -এ মোট ৬৪টি চলচ্চিত্র অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় ৩টি বিভাগে ১৩টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। শিশু বিভাগে (অনূর্ধ্ব ১৮ বছর) ৩টি, যুব বিভাগে (১৮-২৫ বছর) ৫টি ও উন্মুক্ত বিভাগে (২৫ বছর তদূর্ধ্ব) এ সব পুরস্কার প্রদান করা হয়।
যুব ও উন্মুক্ত বিভাগে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার ছাড়াও ২টি করে জুরি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি বিভাগে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে ৫০ হাজার টাকার চেক, ৪০ হাজার টাকার চেক ও ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। জুরি পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকার চেক। প্রতিটি পুরস্কারের সঙ্গে একটি ক্রেস্ট ও একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়।
উন্মুক্ত বিভাগে হিসাব বিজ্ঞান চলচ্চিত্রের জন্য মনির হোসাইন ১ম পুরস্কার, এক্সপিডিশন টু হ্যাপিনেস চলচ্চিত্রের জন্য জায়েদ সিদ্দিকী ২য় পুরস্কার, গায়েব চলচ্চিত্রের জন্য আবিদ মল্লিক ৩য় পুরস্কার এবং ললাট চলচ্চিত্রের জন্য পুলক রাজা ও রকি- দ্য সী কিড চলচ্চিত্রের জন্য জগন্ময় পাল জুরি পুরস্কার লাভ করেন।
যুব বিভাগে কপোতাক্ষের গান চলচ্চিত্রের জন্য সুব্রত কুমার মুন্ডা ১ম পুরস্কার, কালাচোর চলচ্চিত্রের জন্য শরিফুল আবির ২য় পুরস্কার, এ ফোবিয়া চলচ্চিত্রের জন্য প্রাণ কৃষ্ণ ভৌমিক ৩য় পুরস্কার এবং কেইস ১৯১১৯ চলচ্চিত্রের জন্য নাশিবা সামারাত ও অমৃতের পুত্র চলচ্চিত্রের জন্য কনোজ কান্তি রায় জুরি পুরস্কার লাভ করেন।
শিশু বিভাগে হেল্প চলচ্চিত্রের জন্য সৈয়দা আবরার তোয়াহা দ্রাহা ১ম পুরস্কার, রিক্ত চলচ্চিত্রের জন্য অপরাজিতা পারিন ২য় পুরস্কার ও কেউ দায়ী নয় চলচ্চিত্রের জন্য মো. ফারহানুর ইশতিয়াক ৩য় পুরস্কার লাভ করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্ত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধন করেন মোঃ আবুল মনসুর ( সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয়) ।আরও ছিলেন উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নায়ক ফেরদৌস আহমেদ , রাকিবুল হাসান (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শটর্ ফিল্ম ফোরাম ও সদস্য), মানজারেহাসীন মুরাদ ( বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা) সহ আরও অনেকে।
প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, চলচ্চিত্র একটি সমাজের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। সেই সময় চলচ্চিত্রকেই তারা রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এবং স্বার্থক হয়েছিলেন। কাজেই চলচ্চিত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার।
বিএনএ/ রিপন রহমান খান, ওজি,জিএন