27 C
আবহাওয়া
২:৪২ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সাগরের বুকে কাতারের দৃষ্টিনন্দন ইসলামি স্থাপত্য জাদুঘর

সাগরের বুকে কাতারের দৃষ্টিনন্দন ইসলামি স্থাপত্য জাদুঘর

ইসলামি স্থাপত্য জাদুঘর

বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক : কাতারের রাজধানী দোহার উপসাগরের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠেছে ইসলামী জাদুঘর ‘দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’(এমআইএ)। শিল্পকলায় সমৃদ্ধ জাদুঘরটিতে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পরিদর্শন করে থাকেন। দৃষ্টিনন্দন এই পাঁচতলা ভবনে রয়েছে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

এখানে মিষ্টি এবং সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিক্রেতাদের দ্বারা প্রদর্শিত পোশাক, গহনা, হস্তশিল্প, শিল্পকর্ম এবং খেলনা, বাজার ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যের এবং মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করা হয়।

যুগ অনুসারে ইসলামি শিল্পকলা ও আরব ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ দলিল, শিলালিপি, তৈজসপত্র, গহনা, অস্ত্র ও পান্ডুলিপি এখানে ভাগ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এছাড়া ইসলামের প্রথম যুগের রয়েছে আলাদা শিল্প গ্যালারি। মধ্য এশিয়া ও ইরানের ১২-১৬তম শতাব্দীর স্থাপত্যশিল্পের জন্য রয়েছে দুটি আলাদা গ্যালারি। মিসর ও সিরিয়ার ১২-১৫তম শতাব্দীর স্থাপত্যশিল্পের জন্য রয়েছে দুটি আলাদা গ্যালারি। রয়েছে ইরানের ১৬-১৯ শতকের আধুনিক স্থাপত্যশিল্পের আলাদা গ্যালারিও।

দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট
দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট

মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্টের পরিচালক জুলিয়া গনেলা বলেন, বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জাদুঘর এটা। অসাধারণ নির্মাণশৈলী। অতীত ও বর্তমান এখানে একসাথে ধরা দেয়। গ্যালারির অভ্যন্তরীণ নকশায় পরিবর্তন এনেছি।

অনেক গ্রাহক প্রায়ই কাতারের ল্যান্ডমার্ক এবং ইসলামিক ডিজাইনের বৈশিষ্ট্যযুক্ত টুকরোগুলি (হয় পেইন্টিং বা মগ) সন্ধান করে থাকেন। আবার অনেকে ব্যক্তিগত আইটেম পছন্দ করেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও আরেক সদস্য মোস্তফা জানান, এমআইএ বাজার ছাড়াও করোনা মহামারীর আগে দেশের বিভিন্ন বাজারে  ইসলামিক ডিজাইনের বৈশিষ্ট্যযুক্ত পণ্যগুলো বেশি বিক্রি হত।

ইসলামি স্থাপত্য জাদুঘর
ইসলামি স্থাপত্য জাদুঘরের বাইরে

 

শিল্পকর্ম ছাড়াও, পোশাক হল এমআইএ বাজারে সবচেয়ে বেশি চাওয়া পণ্যগুলির মধ্যে একটি কারণ অনেক বিক্রেতা সেখানে লোভনীয় ডিল অফার করে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের পোশাক ছাড়াও পুরুষ ও মহিলাদের পোশাক যেমন জিন্স, জ্যাকেট, টি-শার্ট এবং আবায়া।

প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পে ভরপুর এ জাদুঘরে শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা ও অধ্যয়নের জন্য রয়েছে বিশাল পাঠাগার। পাঠাগারটি প্রতি সপ্তাহে ৫দিন রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকে এ বিশাল গ্রন্থশালা। অনেক দুর্লভ বইয়ের সংগ্রহও রয়েছে এ পাঠাগারে।

জাদুঘরটিতে আরো রয়েছে কফি হাউস, ক্যালিগ্রাফি সমৃদ্ধ গ্যালারি ও উপহারের দোকান। যাতে জাদুঘরটি বন্ধের ১৫মিনিট আগেও প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। সূত্র: গাল্ফটাইমস। 

বিএনএ, হাফিজুর রহমান, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ