26 C
আবহাওয়া
৭:৫৩ অপরাহ্ণ - ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » পিনাকীর কাঁধে ২৮৯ লাশ!

পিনাকীর কাঁধে ২৮৯ লাশ!

পিনাকীর কাঁধে ২৮৯ লাশ!

।। বাবর মুনাফ ।।

পিনাকী ভট্টাচার্য। ফ্রান্সে বসবাসরত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক ও চিকিৎসক। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ থেকে পিনাকী ভট্টাচার্য ইউটিউবে এক্টিভ। বর্তমানে ইউটিউবে তার ৩০ লাখ ৪০ হাজারের বেশি অনুসারী রয়েছে। পিনাকী ভট্টাচার্য তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহপাঠী আঞ্জুমান আরা বেগমকে বিয়ে করেন এবং রোসেফ আঞ্জুমান শুভ নামে তাদের একটি ছেলে রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও ভারতের কট্টর সমালোচনাকারী হিসেবে খ্যাত পিনাকী ভট্টাচার্য প্রায়ই বাংলাদেশের ইতিহাস, চলমান রাজনীতি, মানবাধিকার বিষয়াবলী এবং পার্শ্ববর্তী দেশের ইস্যু নিয়ে লেখালিখি ও ভিডিও বানিয়ে থাকেন। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পর ফ্রান্সে পাড়ি দেয়া এই পিনাকী ভট্টাচার্য রাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেছে!

YouTube player

পিনাকীর বক্তব্য দেশকে অস্থিতিশীল করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নদী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মন্জুর আহমেদ চৌধুরী। সম্প্রতি সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামালের বৈঠকী কথা অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই অভিযোগ করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পিনাকী বিদেশে বসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন উপদেষ্টাদের সমালোচনার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের অন্যতম ছাত্র সমন্বয়কদের উস্কে দিচ্ছেন। সরকারের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি করছেন। পিনাকী মূলত ভারতের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে।

জাতীয় নদী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মন্জুর আহমেদ চৌধুরী আরও বলেন, ২০০৮ সালের মে মাসে কালাজ্বর নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারা দেশে কালাজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে পপুলার ফার্মার তৈরি ক্যাপস্যুল মিল্টোফসিন বিতরণ শুরু করে। কালাজ্বরের ক্যাপসুলে, ময়দার দলা পুরে কোটিপতি হওয়া এই দূর্নীতিবাজ নৈতিকতার সবক দিচ্ছে। ওই সময় ২৮৯ জন এই ভেজাল মিল্টেফসিন খেয়ে মারা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পপুলারের মিল্টোফসিন ক্যাপসুল সরবারহ বন্ধ করে এবং এই ওষুধের সব ধরনের উৎপাদন এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্ভর ‘পপুলার ফার্মা মিল্টোফসিন কেলেংকারী এবং আমি’ শিরোনামে দীর্ঘ এক লেখায় পিনাকী বিষয়টি স্বীকার করে নেন।

তিনি বলেন ‘আপনারা নিশ্চয়ই মাঝে মাঝে দেখে থাকেন আমাকে নিয়ে কোথাও কোথাও লেখালেখি হয়, যে আমি পপুলার ফার্মার মিল্টোফসিন কেলেংকারীর জন্য দায়ী। কেউ বলে আমি কালাজ্বরের ওষুধে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করেছি; আবার কেউ কেউ মনের মাধুরি মিশিয়ে আরো একটু আগ বাড়িয়ে বলে, আমি এই ঘটনা থেকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছি।

এই কথা আমি কখনো অস্বীকার করিনি যে পপুলার ফার্মার কালাজ্বরের ওষুধ নিয়ে কেলেংকারী হয়নি। আমি এটাও অস্বীকার করিনি যে সেই সময়ে আমি পপুলার ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলাম। আমি মার্কেটিং, সেলস, ডিস্ট্রিবিউশন ও আইটি এই বিভাগগুলোর দায়িত্বে ছিলাম। আমি ফার্মাসিস্ট নই, আমি কখনোই ম্যানুফ্যাকচারিং-এ কাজ করিনি, আমার সেই ক্ষেত্রে কোন দক্ষতাও নাই। এই ঘটনার ব্যাখ্যা আমি ফেসবুকে লিখেই দিয়েছি। তবুও বাকশালি অপপ্রচার থামেনি।

হ্যাঁ, আমি পপুলার ফার্মাকে সেইসময় এই কেলেংকারী থেকে উদ্ধার করেছিলাম। আমি একা নই আমার সাথে আরো কয়েকজন দক্ষ পেশাদার কাজ করেছিলো। আমি যেহেতু সামনে থেকে উদ্ধার কর্মের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, তাই আমার নিজের গায়ে এই কেলেংকারীর দাগ লাগানোর ঝুঁকি নিয়েই পপুলারকে উদ্ধার করেছিলাম।

পিনাকী বলেন, আমি পপুলার কেলেংকারীর চাচা ছিলাম কারণ আমি চাকরি করতাম ওখানে, বাপ ছিলাম না, মানে ঘটনাটা আমার হাত দিয়ে ঘটেনি। কিন্তু পরিবারে সমস্যা হলে যেমন চাচা দূরে দাড়িয়ে হাততালি দেয়না, সমস্যা দূর করার কাজে হাত লাগায়। আমিও হাততালি দেই নাই, এই গাড্ডা থেকে পপুলার আর তার হাজার হাজার কর্মীদের ভবিষ্যৎকে উদ্ধার করেছিলাম।

বিএনএনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম

Loading


শিরোনাম বিএনএ