বিএনএ: রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ১১৪ জন।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সড়কে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও দুর্ঘটনায় আহত ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে প্রাণহানি কমেছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেয়া, ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বিবিধ কারণ, ০ দশমিক ৬৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ১ দশমিক ১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষ।
দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর মোট দুর্ঘটনার ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।
দুর্ঘটনারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ১৭ জানুয়ারি, এদিন ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ জানুয়ারি, এদিন ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ১১ জানুয়ারি, ওইদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হন। সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে ৫ জানুয়ারি, এদিন ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হন।
সংগঠনটি জানায়, বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চালকের বেপরোয়া মনোভাব, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধিতে দুর্ঘটনা বেড়েছে।
এছাড়া সড়কে চাঁদাবাজি, রাস্তার পাশে হাট-বাজার, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো, চালকের নিয়োগ ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা, দেশব্যাপী নিরাপদ ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে।
বিএনএনিউজ/এ আর