22 C
আবহাওয়া
৩:৫২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অবৈধ ঘেরে দূষিত মহানন্দার পানি

অবৈধ ঘেরে দূষিত মহানন্দার পানি

অবৈধ ঘেরে দূষিত মহানন্দার পানি

বিএনএ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ:অবৈধভাবে ঘের (কুমার/কাঠা)দিয়ে নদীর মাছ আহরনের কারণে দূষিত হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর পানি।এই দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে নানারকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের রামজীবনপুর-দীননাথপুর গ্রামের নদী তীরবর্তী হাজারো  মানুষ।বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং দূর্ভোগ নিরসনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ৩১ ডিসেম্বর/২০ তারিখে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী।সমস্যার সমাধান চান বালিয়াডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলামও। জেলা প্রশাসক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বর্তমান ও সাবেক সাংসদ, জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এবং সদর মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জকে অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের দীননাথপুর গ্রাম সংলগ্ন নদী তীরবর্তী এলাকার শীতলাতলা ঘাট ও মরঘাটি ঘাটে রামজীবনপুর গ্রামের সমসু মন্ডলের ছেলে মো. আব্দুর রাকিব নদীর মাছ আহরনের উদ্দেশ্য ঘের (জাগ/কুমার/কাঠা) দিয়েছে। ঘেরে ডালপালা দিয়ে রেখেছেন তিনি।এতে কচুরিপানা দিয়ে আটকে ঘিরে রাখার কারনে গোসল করতে আসা মানুষের চুলকানি রোগ দেখা দিয়েছে।এই এলাকার টিউবওয়েলে আর্সেনিক থাকায় এই নদী তীরবর্তী এলাকার বেশিরভাগ পরিবার নদীর পানি ভাত রান্নার কাজে ব্যবহার করেন।দূষিত এসব পানিতে গোসল ও ব্যবহারে চুলকানিসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে দীননাথপুর গ্রামে।

গ্রামের কৃষক মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, নদীর পাড়ে বাড়ি হওয়ার দীর্ঘদিন ধরে নদীতেই গোসল করেন তারা।শীতলাতলা ঘাট ও মরঘাটি ঘাটে জাগ/কাঠা দেয়ায় কচুরিপানার কারণে পানি খারাপ হয়ে গেছে।এখন যেই গোসল করতে আসছে, তারই চুলকানি হয়ে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।নদীর অনেক জায়গা রয়েছে,তাই আব্দুর রাকিবের উচিত সাধারণ মানুষের ক্ষতি না করে ফাঁকা জায়গায় জাগ দেয়া। কিন্ত তিনি তা করছেন না।

গৃহবধূ সুমেরা বেগম বলেন,তার দুই ছেলে-মেয়ে নদীতে গোসল করে।কয়েকদিন থেকে তাদের শরীরে চুলকানি শুরু হয়েছে,তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। ছেলে মেয়েদেরকে কিছুতেই নদীতে গোসল না করার জন্য আটকে রাখা যাচ্ছেনা।ছোট বাচ্চারা সেটি তো বুঝে না।কিন্তু যারা বুঝে,তারা কেন এমন জায়গায় কাঠা দিয়েছে? চুলকানির ভয়ে গত কয়েকদিন থেকে ভাত রান্নার পানিও আনা যাচ্ছেনা।

মো. জুলফিকার আলী জানান,জাগ বা কাঠার কারণে সব ল্যালা (পানির আর্বজনা)জন্মায়।এতে অনেক চুলকানি হয়।বিভিন্ন কাটা দেয়ায় মানুষ গোসল করতে পারেনা,এমনকি পানিতে নামতেও পারে না।পানি অনেক তিতা হয়ে যাওয়ায় রান্নার কাজে ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে গেছে।

জাগ বা কাঠার মালিক আব্দুর রাকিব বলেন, গত ২ বছর থেকে শীতলাতলা ঘাটে জাগ দিয়ে মাছ চাষ করছেন তিনি।কারো অনুমতি নেয়া হয়নি। অসুখ হলেও কেউ কোনদিন কিছু বলেনি, তাই সরানো হয়নি বলে জানান তিনি।

বিএনএনিউজ/রঞ্জু,আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ