বিএনএ,ঢাকা:অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে বরখাস্ত ওয়াড কাউন্সিলর এরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে চকবাজার থানা পুলিশ। সোমবার(৪ জানুয়ারি)সকালে এ তথ্য জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর, অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে নেমে এরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।ফলে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় তা জমা পড়েনি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, র্যাব অস্ত্র, মাদকসহ জব্দ করা যে তালিকা জমা দিয়েছিল, সেখানে কোথাও বলা হয়নি এরফানের কাছেই অস্ত্র পাওয়া গেছে। এমনকি সেখানে বলা হয়নি যে এরফানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্র বা মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি ওই জব্দ তালিকায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সইও ছিল না। এছাড়া ওই ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহাতীতভাবে তার (এরফানের) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। তবে তার সহযোগীর বডিতেই মাদক পাওয়া গেছে বলে র্যাব জানিয়েছে। ফলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা গেছে।
গত বছরের ২৫শে অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করে হত্যার হুমকি দেন এমপি পুত্র এরফান সেলিম। এ ঘটনায় পরদিন সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর এরফানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সে সময় তার কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য থাকার গোয়েন্দা তথ্য ছিল র্যাবের কাছে। অভিযানে পুরান ঢাকার ওই বাসা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক, অবৈধ ওয়াকিটকি হ্যান্ডসেটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
পরে মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেয়া হয়। এরপর ২৮ অক্টোবর চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক চারটি মামলা করেন র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম।
বিএনএনিউজ/আরকেসি