বিএনএ, মিরসরাই: মিরসরাইয়ে পাইকারি ও খুচরা মূল্য কমেছে বয়লার মুরগি ও ডিম এর। ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে নিন্ম আয়ের ক্রেতা সাধারণের মাঝে। তবে বাজার ভেদে রয়েছে মূল্যের ৫ থেকে ১০ টাকার তারতম্য। মিরসরাইয়ের ৩টি বাজার সরজমিন করে এমনই পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে মিরসরাই পৌরসদরের পৌরবাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় বয়লার মুরগি প্রতি কেজি খুচরা মূল্য বিক্রি হচ্ছে ১শ ৫০টাকা দরে। কিন্তু কয়দিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ১শ ৮০টাকা দরে। দাম বেড়ে যাওয়ায় খাবারের তালিকা থেকে অনেককেই বয়লার মুরগিকে বাদ দিতে হয়েছিল। দাম কমায় নিন্ম আয়ের মানুষরা সপ্তাহে অন্তত একবার বয়লার মুরগি খাবারের তালিকায় রাখতে পারছেন । তবে এসব মুরগি খামারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১শ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মিরসরাই পৌরবাজারের খুচরা মুরগি বিক্রেতা হারুন জানান, ক্রয় মুল্য কম থাকায় ১শ ৪০ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে বয়লার মুরগি। শনিবারের ক্রয় অনুযায়ী আনুসাঙ্গীক খরচ যোগ করে ১শ ৪০ থেকে ৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এখন। তবে সর্বশেষ সর্বোচ্ছ খুচরা মূল্য ১শ ৮০টাকা করে বিক্রি করতে হয়েছিল। তখন মুরগির সাপ্লাই ও ক্রেতার সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছিল।
অপর দিকে লেয়ার মুরগির ডিম কেইজ প্রতি (৩০টি) ৩শ ৯০ টাকা থেকে কমে এখন ২শ ৭০টাকা হয়েছে। মিরসরাই পৌরবাজারের ডিম বিক্রেতা জাহাঙ্গীর জানান, পাইকারে প্রতি ১শ ডিম ৯শ টাকা করে বিক্রি করছেন তারা । এছাড়া খুচরা মুল্যে প্রতি ১ হালি ৪০টাকা করে বিক্রি করছেন, পূর্বে যা ছিল ৫২টাকা।
ডিম ক্রেতা নুরের ছাপা জানান, প্রতি মাসে তার পরিবারে ৬০টি ডিম লাগে। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়ে যায়, তাই ৬০টির স্থলে ৩০টি কেনা হতো গত তিন মাস ধরে। এখন আবার ডিমের দাম নাগালের মধ্যে আসায় ৬০টি ক্রয় করছেন। বৃদ্ধ মা আর ছোট সন্তানের জন্য।
বেশ কয়েকজন ক্রেতা স্বস্তি প্রকাশ করে জানান, গত কিছু দিন যাবত বয়লার মুরগির গোসত ও লেয়ার মুরগির দাম কমে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এসেছে। এখন অন্তত গরুর গোসত বা দেশি মুরগির গোসত না খেতে পারলেও বয়লার মুরগির গোসত ক্রয় করে পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতে পারছি। বর্তমান মূল্য মোটামুটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে।
বিএনএ/আশরাফ, এমএফ