28 C
আবহাওয়া
৮:০০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নামাজ ত্যাগকারী মুসলমানের যা জানা উচিত

নামাজ ত্যাগকারী মুসলমানের যা জানা উচিত

নামাজ

ইসলামে ব্যক্তি জীবনে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুসলমান নরনারীর জন্য ফরজ। আবশ্যিক বিষয়। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫) মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, “আমি জিন ও মানবজাতিকে সৃষ্ঠি করেছি কেবল আমার ইবাদত করার জন্য।”

দুনিয়ার লোভ লালসায় জড়িয়ে পড়ে নামাজ ত্যাগ এবং কাজের ব্যস্ততায় নামাজ সময়মত আদায় না করার শাস্তিও কম নয়।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদিসে বলেন, ‘নামাজ হলো ঈমানদার ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়কারী। আবার যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিল তবে সে কুফরি করল’। (তিরমিজি : ২৬২০, আবু দাউদ: ৪৬৭৮)

নামাজ না পড়লে শুধু পরকালেই নয়, দুনিয়ার জীবনেও নেমে আসে অশান্তি, হতাশা, অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্ট। দুনিয়ার জীবনে বেনামাজির জন্য ৫টি শাস্তির কথা জানা যায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন হাদিস থেকে।

১. নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তির জন্য কোনো লোক দোয়া করলে, তা কাজে আসবে না।
 
২.যে ব্যক্তি নামাজ ত্যাগ করে, ওই ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য ভালো কাজের কোনো পুরস্কারও পাবে না।

৩. নামাজ পরিত্যাগকারী ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপেই আল্লাহতায়ালা সব সৃষ্টিজীবের কাছে ঘৃণিত। কোনো সৃষ্টিজীবই তাকে পছন্দ করবে না।

৪. আল্লাহতায়ালা নামাজ ত্যাগকারীকে দুনিয়ার জীবনে সব কাজের বরকত থেকে মাহরূম/বঞ্চিত করেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির আসরের সালাত কাজা হয় তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ সবই যেন ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসলিম, হাদিস : ১৩০৪)

৫. নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তির চেহারায় কোনো নূর বা উজ্জ্বলতা থাকে না।

যারা নামাজের বিষয়ে উদাসীন তাদেরকে সতর্ক করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, দুর্ভোগ ওই সমস্ত নামাজিদের জন্য, যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। (সুরা : আল-মাউন, আয়াত: ৪-৫)

 

আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদিসে বলেন, “সালাতের সময় আল্লাহ তাআলা বান্দাহর প্রতি সর্বক্ষণ দৃষ্ঠি নিবদ্ধ রাখেন, যতক্ষণ না সালাত আদায়কারী অন্যদিকে দৃষ্ঠিপাত করে। যখন সে অন্য কোনো দিকে দৃষ্ঠিপাত করে, তখন আল্লাহ তাআলা তার দিক থেকে দৃষ্ঠি ফিরিয়ে নেন।”(আবু দাউদ:৯১০)
আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, “হে মানবজাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে তা হতে তোমরা আহার করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।”  (সূরা আল -বাক্বারাহ১৬৮)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হারাম ভক্ষণকারীর কোনো শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।'(মিশকাত২৭৮৭)
মুসলমানদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহর নৈকট্যের পথে সব সময় কর্মের চেয়ে বর্জনের গুরুত্ব বেশি। যা করা ফরজ তা তো করতেই হবে, তবে যা বর্জন করা ফরজ তা পূর্বেই বর্জন করতে হবে। যে ব্যক্তি তার ওপর অর্পিত কোনো ফরজ কর্ম পালন করছে না, বা হারাম কার্যে রত আছে, অথচ বিভিন্ন নফল-মুস্তাহাব কর্ম পালনে খুবই সতর্ক, তার এরুপ নফল ইবাদত কোনো কাজে আসবে না। নফল ইবাদতের চেয়ে সকল প্রকার হারাম,শিরক, বিদআত, ও মাকরুহ বর্জন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বস্তুত আল্লাহর হুকুম মেনে চলার মধ্যেই মানব  পরিচয়ের সার্থকতা। এ ক্ষেত্রে তিনটি শক্ত প্রতিপক্ষ তাকে সর্বদা বাধা প্রদান করে। ১. তার নিজের প্রবৃত্তি, ২. পার্থিব মোহ ৩. শয়তানের প্রতারণা।
এই তিনটি কঠিন প্রতিকূলতার বিপক্ষে দাড়িয়ে আল্লাহপ্রদত্ত দায়িত্বসমূহ সঠিকভাবে পালন করতে মুসলমানদের প্রয়োজন ইস্পাতকঠিন মানসিক শক্তি।
হে আল্লাহ !সকল মুসলমান নারীপুরুষকে নিয়মিত নামাজ সঠিকভাবে সঠিক সময়ে আদায় করার তওফিক দান করুন।
হে আল্লাহ ! আপনার প্রশংসার সাথে আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতিত প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও তাওবা করছি। সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ