বিএনএ ঢাকা: বিবিসি-সিএনএনসহ ১৭টি বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ‘ক্লিন ফিড’ পাঠানো সত্ত্বেও ক্যাবল অপারেটররা সেগুলো বন্ধ রেখে শর্ত ভঙ্গ করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তারা শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন বলেও জানান তিনি।
রোববার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, বিদেশি চ্যানেল ইস্যুতে সরকার কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। সরকার দেশের স্বার্থ এবং আইন বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। যেকোনো অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেব্ল অপারেটরেরা যদি আলোচনা করতে চায়, সে ক্ষেত্রে আইন মেনে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের ভিত্তিতে আলোচনা হতে পারে।
হাছান মাহমুদ বলেন, সব দেশেই সম্প্রচার নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশেও নীতিমালা আছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বেশিরভাগ দেশে ক্লিন ফিড দিয়ে বিদেশি চ্যানেল চলে। বাংলাদেশেও একইভাবে বিদেশি চ্যানেল চালানোর দায়িত্ব চ্যানেল ও এজেন্টদের। ক্লিন ফিড না থাকায় দেশের ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের টিভি চ্যানেলগুলোও। তাই আইন ভঙ্গ করে দেশের ক্ষতি মেনে নেয়া হবে না। কিন্তু তারা (সংশ্লিষ্টরা) এদেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। তাদের দুই বছর সময় দেয়া হয়েছিল। এরপরও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান তিনি।
৪ অক্টোবরের পর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের আন্দোলনের কথা বলা অযৌক্তিক। যেসব চ্যানেল দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে, সংস্কৃতিকে চোখ রাঙাচ্ছে; সেগুলোর পক্ষে ওকালতি করা দেশের স্বার্থ ও আইনবিরোধী।
মন্ত্রী বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা ও আইন কার্যকর করতে বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার কোন চ্যানেল বন্ধ করেনি। আইন মেনে বিজ্ঞাপন ছাড়া ক্লিন ফিড দিলে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে কোন বাধা নেই। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। এখানে যেকোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে। তবে দেশের আইন মেনে করতে হবে বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি