বিএনএ, ডেস্ক : মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আরকান আর্মি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৯ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এরপর আরাকান আর্মির ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
তবে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ২টি গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরেও পড়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মংডু শহরের একটি তল্লাশি চৌকি দখলে নিয়ে ১৯ পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে আরাকান আর্মি। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা ওই তল্লাশি চৌকি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য অস্ত্র লুট করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ইরাবতি বলেছে, বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে অন্তত তিনবার হামলা চালিয়েছে।
মংডুর এক বাসিন্দা ইরাবতিকে বলেছেন, সকালের দিকে দুটি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। বিকেলের দিকে আরও দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি হেলিকপ্টার থেকে ফের হামলা চালানো হয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম আজ(শনিবার) দুটি গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮-১০টি গোলা ছোড়া হয় আর হেলিকপ্টার থেকেও ৩০-৩৫টি গুলি করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের সীমানা পিলার ৪০-এর ১২০ মিটার অভ্যন্তরে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়ে।
বিএনএ/ ওজি