বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : টি টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২৩ রানে জয় পেল বাংলাদেশ। নিজেদের মাঠে সফরকারীদের হারিয়ে ৫ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়াকে ঢাকার মাঠে এনে খেলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বিসিবি। নতুন নতুন কড়া কড়া অনেক শর্ত দিয়েছে। সব শর্ত মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের পর এক বাংলাদেশি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে, সব শর্ত মানাতে পারলেও জিততে পারলো না অতিথি দল।
করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকার ক্রিকেট মাঠে দর্শক নেই মাঠে বহুদিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ মতো দলগুলো ঘুরে গেছে ঢাকার মাঠ। এরপর আসে অসি দল।তবে তারা শুধু দর্শকদেরই মাঠের বাইরে রেখে সন্তুষ্ট নন। খেলোয়াড়দের নিয়েও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আছে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী।
সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এসব নিয়ম ও কোভিড সতর্কতা মেনে চললেই কেবল মাঠে খেলা গড়াবে।
ঢাকায় বিমানবন্দরে পা রাখার পর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে হোটেলে কোয়ারেন্টিন সবখানেই সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলাদেশে আসার আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে রাখে একটা পুরো হোটেল তাদের জন্য বুক করে রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা যে কয়দিন হোটেলে থাকবেন ততদিন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যথাযথ কোভিড প্রটোকলের আওতার বাইরের কোন মানুষকেই হোটেলে ঢুকতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও অন্য একটি হোটেলে একই ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই এই ক্রিকেট সিরিজে খেলছেন।
এর বাইরেও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেখাশোনা যারা করেন তাদের সুপারিশ মেনে চলেন। সেই সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় কোভিড সতর্কতা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে শর্ত দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শর্ত দিয়েছিল, যতটা কম সম্ভব চলাচল করার। এই কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চট্টগ্রামে ম্যাচ খেলানোর চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যখন জিম্বাবুয়ে ছিল যারা বায়োবাবলে ছিলেন তারাই একসাথে ঢাকায় ফিরেই কোয়ারেন্টিনে চলে গেছেন হোটেলে। যে কারণে বায়োবাবল ভেঙে ছুটিতে যাওয়া মুশফিকুর রহিম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারছেন না।
বায়োবাবলে না থাকা ক্রিকেটার, ম্যাচ রেফারি ও গ্রাউন্ডসম্যানরা অন্তত ১০দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
এসব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্ট মোট দেড়শ জনের মতো কোয়ারেন্টিনে ছিলেন এই দশদিন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, “কোথাও এখন আর কোন বাধা নেই। ম্যাচ এখন গড়াবে তাদের কিছু শর্ত আমরা মেনে নিয়েছি। পাঁচ ম্যাচের জন্য দুজন ধারাভাষ্যকার নিয়ে আসা হয়েছে বিদেশ থেকে।”
“আমরা আশা করছি, যাতে পুরো সিরিজটা নিরাপদে শেষ করতে পারি। দিনরাত ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল ও গ্রাউন্ডস ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করছে। কীভাবে নিরাপদে এই সিরিজটা শেষকরা যায় সেটাই এখন মুখ্য বিষয়।”
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।