বিএনএ,চট্টগ্রাম: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১২টি কোরবানির পশুর হাট বসাতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এরই মধ্যে ১২টি পশুর হাটের ইজারা চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে। যা আগে ছিল ৭টি।
চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগরীতে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার। গত কোরবানির ঈদে তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি চারটি অস্থায়ী হাট বসেছিল নগরীতে। এবার সাতটির জায়গায় ১২টি পশুর হাট ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। তবে এ জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ মে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দেন। এবার আগামি ১২ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১০দিন হাট বসবে।
প্রস্তাবিত হাটসমূহ হল: কর্ণফুলী গরুবাজার (নুরনগর হাউজিং সোসাইটি), সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন মাঠ, স্টিলমিল বাজার, পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাঠগড়), ৪১ নং ওয়ার্ডস্থ বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, আমানবাজার ওয়াসা মাঠ, মাদারবাড়ি রেলক্রসিং সংলগ্ন বালুর মাঠ, কালুরঘাট ব্রিজের উত্তর পাশের মাঠের খালি জায়গায় অস্থায়ী হাট বসাতে চায় চসিক।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, নগরীতে পশুর হাটের চাহিদা বেড়েছে। তাই হাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন জেলা প্রশাসন যে কটি হাটের অনুমোদন দেবে, সেগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি হাট ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া হবে। তাই গতবারের তুলনায় বেশি হাট বসানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কারণ হাট বেশি হলে মানুষ তার কাছের হাট থেকে কোরবানির পশু কেনার সুযোগ পাবে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে গত বছর দুইটি হাট বাদ দেওয়া হয়। বসানো হয় ৫টি অস্থায়ী হাট। হাটগুলো ছিল কর্ণফুলী (নুরনগর হাউজিং) পশুরহাট, কমল মহাজন হাট গরুবাজার, সল্টগোলা গরুর বাজার, পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ ও স্টিলমিল বাজার গরুর হাট।
বিএনএনিউজ/মনির