জাতিসংঘ(জাস) মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক এবং মিডিয়ার জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,‘গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি’ এবং ‘মানবাধিকারের প্রাণশক্তি’ হল সংবাদপত্র। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমস্ত স্বাধীনতা নির্ভর করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর’।
বুধবার বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম দিবসের আগে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক সম্মেলনে গুতেরেস আরও বলেন, ‘তবে বিশ্বের প্রতিটি কোণে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আক্রমণের মুখে রয়েছে।’
গুতেরেস বলেছেন, ‘সত্যকে বিভ্রান্তি এবং ঘৃণামূলক বক্তব্যের দ্বারা হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যা ফ্যাক্ট এবং কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান এবং ষড়যন্ত্রের মধ্যে পার্থক্যের সীমারেখা অস্পষ্ট করতে চাইছে।’
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদেরকে ‘নিয়মিতভাবে হয়রানি করা হয়, ভয় দেখানো হয়, আটক করা হয় এবং কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়।’
এদিকে এবছর ইউনেস্কো ২০২৩ সালের বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম পুরষ্কার প্রদান করেছে তিন ইরানি নারী, দুই সাংবাদিক এবং একজন মানবাধিকার কর্মীকে। যারা এখনো কারাগারে বন্দী।
যদিও গুতেরেস সুনির্দিষ্ট কোন দেশগুলোর উপর দোষারোপ করেননি, অন্যান্য বক্তারা স্বতন্ত্র কেসগুলো হাইলাইট করেছেন। যেমন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার ইভান গারশকোভিচ রাশিয়ায় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক। তিনি এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রকাশক আলমার লাটোর ফোরামে বলেছেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার লড়াই হচ্ছে, ইভানের মুক্তির লড়াই, প্রত্যেকের স্বাধীনতার লড়াই।’
যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইভানের কারাবাসকে ‘সম্পূর্ণ অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন তখন কয়েক ডজন সংবাদ সংস্থা গার্শকোভিচের বিরুদ্ধে অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে নিন্দা করেছে।
অন্যান্য সাংবাদিকরা বলেছেন, পেশার উপর ক্রমবর্ধমান বিপদের আঘাত বাড়ছে।
প্রবাসে বসবাসরত ইরান-আমেরিকান সাংবাদিক মাসিহ আলিনেজাদ বলেছেন, ‘আমি এমন একটি দেশ থেকে এসেছি যেখানে সাংবাদিক হওয়া একটি অপরাধ। আপনাকে কারাগারে পাঠাতে পারে, আপনাকে হত্যা করতে পারে, আপনাকে নির্যাতন করতে পারে’।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের মতে, ২০২২ সালে দায়িত্ব পালনকালে ৫৫ জন সাংবাদিক ও চারজন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন