বিএনএ, ডেস্ক : ডিম অতি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার ।একে বলা হয় সুপার ফুড। একটি সিদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ ক্যালরি, ৬ দশমিক ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৫ দশমিক ৩৪ গ্রাম ফ্যাট ও সামান্য কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, সেলেনিয়াম, ফসফোরিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন ডি, জিংক, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোলিন, লুটেইনও জেক্সানথিন।রয়েছে উচ্চ প্রোটিন, প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ।
অনেকে কোলেস্টেরলের ভয়ে ডিম খান না। এটি কিন্তু ঠিক নয়। কারণ, একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা খুব বেশি নয়।তাছাড়া একটি ডিম খাওয়র পর চার ঘন্টা খাদ্য বিরতিতে থাকা যায়।
নিয়মাবলী
• ক্যালরি, ওজন বা কোলেস্টেরল কমানোর কথা চিন্তা করেন বা ফ্যাটি লিভারের কথা ভাবেন, তাহলে তারা ডিম সিদ্ধ বা পানিতে পোচ করে খাবেন। কারণ, এখানে কোনো তেল থাকবে না।
• যতটা সম্ভব কম তাপমাত্রায় স্বল্প সময়ে রান্না করুন।
• ভালো তেল নির্বাচন করা উত্তম। যেমন অ্যাভোকাডো ও এক্সট্রা ভার্জিন জলপাই তেল।
• ডিমে কোনো ফাইবার থাকে না। ডিমের সঙ্গে ফাইবার তথা আঁশ হিসেবে খেতে পারেন পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি।
• ডিম চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন হওয়ায় একে সামান্য তেল দিয়ে খেলে সহজে শরীরে শোষিত হবে। বেশি তেল দিয়ে দীর্ঘ সময় ভাজবেন না।
লক্ষণীয়
• ডিম কাঁচা বা অল্প পোচ করে খাবেন না। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও শিশুরা। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
• কোলেস্টেরল বা হৃদ্রোগের ঝুঁকি না থাকলে ডিম অল্প তেল যোগ করে খেতে পারেন। কারণ, ডিম সিদ্ধ থেকে ভেজে খেলে প্রায় ভিটামিন ই পাওয়া যায়। বিশেষ করে শিশুদের বেলায়।
• ডিমের মধ্যে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকায় ডিম খাওয়ার পর চা, চিনিযুক্ত খাবার, দুধ বা সয়া জাতীয় খাবার খাবেন না।
• ডিম যেহেতু প্রোটিনের উৎস, তাই অন্য প্রোটিন খাবার কেমন খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে ডিম খেতে হবে।
• ফার্ম এর ডিমের চেয়ে অরগানিক ডিম বেশি পুষ্টিকর।
• দেশি প্রাকৃতিক চারণ করা মুরগির ডিমে ভিটামিন এ, ই, ওমেগা থ্রি ও ভিটামিন ডি প্রচলিত ডিমের চেয়ে তিন গুণ বেশি।
• অরগানিক ডিম হৃদ্রোগ, কোলেস্টরল ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ভালো।
বিএনএ/রেহানা, ওজি