বিএনএ, চট্টগ্রাম :প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জনসভা উপলক্ষে ব্যাপক ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।কয়েকলাখ মানুষের এই জনসভায় নির্বিঘ্ন উপস্থিতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেয়া হয়েছে বহুবিধ ব্যবস্থা।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘এটা চট্টগ্রামের জন্য বড় উৎসব। নিরাপত্তার জন্য আমাদের আয়োজন ভালো। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো আয়োজনটাই তদারক করছে। তাদের পরামর্শ মোতাবেক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, ড্রোন থাকবে। মোটকথা, পুরো শহরজুড়ে নিরাপত্তা থাকবে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে। ওই দিন যারা মিছিলে আসবে, গাড়ি কোথায় রাখবে সেটা আমরা পরে বলে দেব। ’
দীর্ঘ সময় পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীতে।২০১২ সালে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জনসভা হয়েছিল।এ ছাড়া ২০১৮ সালের ২১শে মার্চ চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যানবাহন চলাচলে থাকছে যেসব বিধিনিষেধ
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে।
ঐদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত পর্যন্ত আন্ত জেলা যাত্রীবাহী এসি ও নন-এসি বাস মহানগরে প্রবেশ করতে পারবেনা।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পংকজ দত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদন জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য নির্দেশনা সকল প্রকার যানবাহনের চালক, যাত্রী সাধারণ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সকলকে যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সিএমপি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জিওসি- ২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি গাড়ি পার্কিং হবে রেলওয়ে পাবলিক স্কুল মাঠ।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পার্কিং হবে সিআরবি সাত রাস্তা (এক সারিতে)। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের গাড়ি পার্কিং শহীদ শাহজাহান মাঠ ও শুভপুর বাস টার্মিনাল। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের কার পার্কিং পুরাতন রেল স্টেশন ও সিআরবি সাত রাস্তা।
মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দের কার পার্কিং করবেন জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠ, পুরাতন রেল স্টেশন ও প্যারেড গ্রাউন্ড। নেতৃবৃন্দের মাইক্রোবাস পার্কিং স্থান প্যারেড গ্রাউন্ড (চকবাজার)।
সমাবেশে আসা বাসগুলো পার্কিং করবে নতুন ব্রীজ হতে কালামিয়া বাজার এক্সেস রোড, শুভপুর টার্মিনাল, ফরেস্ট গেইট (বন গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ), বহদ্দারহাট টার্মিনাল,শহীদ শাহজাহান মাঠ (আমবাগান রোড), আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও অলংকার আলিফ গলি। বিভিন্ন মিডিয়ার কার পার্কিং করবে জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠ।
বিএনএ/ওজি ,জিএন