বিশ্ব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি এখন খুবই অশান্ত হয়ে ওঠেছে।গাজা-ইসরায়েল, হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল বা লেবানন-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ইরান থেকে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক ২০০ রকেট নিক্ষেপ পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।
যদিও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরানের হামলায় গুরুতর আহতের খবর নেই, তবুও হামলার পর ইসরায়েল জুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে ভীতসন্ত্রস্ত ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলি একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
হামাস, হেজবুল্লাহ এবং ইরানের সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যার জবাবে এই মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড।
তারা বলছে, ইসরায়েল যদি এই হামলার জবাব দেয় তবে আরও হামলা চালানো হবে।
শনিবারেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা অঙ্গীকার করেছিলেন যে তাদের মিত্র, হেজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের প্রতি হুঁশিয়ারি এবং প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি বিষয়টি আন্তর্জাতিক টেনশন আরও বাড়াতে পারে। এই ঘটনার পরিণতি কেমন হবে তা বলা মুশকিল, তবে প্রতিক্রিয়া এবং পাল্টা হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দাবি করেছে, ২০০ রকেটের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ ইসরায়েলে আঘাত করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত তেমন গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ২ শতাধিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
তারা বলছে, প্রায় ১৮০ টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে এবং অনেক মিসাইল ভূপাতিত করা হয়েছে, তবে মধ্য এবং দক্ষিণাঞ্চলে ‘কিছু আঘাতের’ ঘটনাও ঘটেছে। ইরানকে এই হামলার ‘পরিণাম ভোগ করতে হবে’ বলেও হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার জন্য ইরানকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও ইরানের এসব হামলার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
এসজিএন