বিএনএ, বরিশাল: বরিশাল নগরীতে আইভি স্যালাইন সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সরবরাহ কম ও চাহিদা বেশি থাকায় এ অবস্থা বলে জানিয়েছেন ঔষধ ব্যবসায়ী-রোগীর স্বজনরা। গত দুই মাস ধরে সংকট থাকলেও বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
নগরীর হাসপাতাল রোডের ঔষধ ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান সোহেল জানান, বরিশালে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ও রোগী বেশি। এছাড়াও অস্ত্রোপচার ছাড়াও অর্থপেডিক্স, গাইনী ও শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য আইভি স্যালাইন প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত ৬/৭ হাজার ব্যাগ স্যালাইন প্রয়োজন হয়। কিন্তু ২/৩ হাজারের বেশি স্যালাইন সরবরাহ নেই। স্যালাইন সংকটের কারণেও দাম বেশি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে সোহেল বলেন, বড় বড় ফার্মেসী ছাড়াও স্যালাইন পাওয়া যায় না। ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দামের স্যালাইন ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
শেবাচিম হাসপাতালের সামনের ঔষধ ব্যবসায়ী জানান, সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত ৩০ জন স্যালাইন কিনতে এসেছেন। কিন্তু না থাকায় দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, শুধু ডেঙ্গু রোগীই নয়। হাসপাতালে কোন রোগী এলে সকলকে প্রথমে স্যালাইন দেয়া হয়। প্রতিদিন গড়ে শেবাচিম হাসপাতালে দেড় থেকে দুই হাজার রোগী থাকে। এসব রোগীদের প্রত্যেকদিন কম হলেও দুই থেকে তিনটি স্যালাইন প্রয়োজন। হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন একটি করে দিলেও বাকী প্রয়োজনীয় স্যালাইন বাইর থেকে কিনতে হয়। কিনতে এসেই বিপাকে পড়ে রোগীর স্বজনরা।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় বাড়ল
মামুন নামে রোগীর এক স্বজন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর সদর রোডের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সকল ফার্মেসীতে ঘুরেও এনএস স্যালাইন পায়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, বরিশাল নগরীর সিংহভাগ স্যালাইনের চাহিদা মেটায় অপসো স্যালাইন কোম্পানী। এছাড়াও একমি, স্কয়ার ও বেক্সিমকোর প্রস্তুতকৃত স্যালাইন বিক্রি হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্টরা তাদের অন্যান্য ঔষধ যে সকল ফার্মেসী বেশি কেনে, তাদের কাছে স্যালাইন বিক্রি করে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, সরকারি হাসপাতালে স্যালাইনের কোন সংকট নেই। বাইরের সংকট থাকলে সেটা ঔষধ প্রশাসন ভালো বলতে পারবে।
বিএনএনিউজ/ সাইয়েদ কাজল/ বিএম